Advertisment
সাতকাহন সাতকাহন

তিনশ বছরের হালদার বাড়ির কালীপুজো, বিলিতি খড়্গ দিয়ে বলি, দেখুন ফটোগ্যালারি

ব্রিটিশ আমলে ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্থা শেফিল্ডের মালিক জন ইয়েটস হালদার বাড়ির কালীপুজো দেখে খুবি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি খুশি হয়ে তার কম্পানির ইস্পাত দিয়ে তৈরি দুটি খাঁড়া জাহাজে করে পাঠিয়ে ছিলেন। একটি ছিল বেশী ওজনের রুপোর মত অপরটি তুলনামূলক অনেক হাল্কা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Diwali, kali puja, diwali 2018, Kolkata, England, British, দীপাবলি, কালীপূজো, কলকাতা, ব্রিটিশ, প্রতিমা

তিনশ বছরের পুরনো কালী পুজো। ছবি-শশী ঘোষ

  • কলকাতা শহর ও তার আশেপাশে বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে মাতামাতি থাকলেও বনেদি বাড়ির কালীপুজো নিয়ে তেমন একটা চর্চা দেখা যায়না। কিন্তু এমন অনেক পুজো আছে যা ৩০০ বছর কিংবা তার থেকেও পুরনো। ছবি-শশী ঘোষ
  • তেমনই এক পুজো হয় কলকাতার বউবাজার অঞ্চলের রামনাথ কবিরাজ লেনের হালদার বাড়িতে। এ কালী পুজো ৩০০ বছরের পুরনো। সতের শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে লক্ষ্মীনারায়ণের হাত ধরে হালদার বাড়ির পুজো শুরু হয়। ছবি-শশী ঘোষ
  • লক্ষ্মীনারায়ণ হালদার ছিলেন বাদলা গ্রামের জমিদার। কলকাতায় লক্ষ্মীনারায়ণের বাবার অনেক জমিজমা থাকার সুবাদে তিনি কলকাতায় এসে ব্যাবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। ব্রিটিশদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়ার সুবাদে ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি জিনিসপত্র আমদানি করতে পারতেন। ছবি-শশী ঘোষ
  • ব্যবসা ভালো হওয়ার কারণে হালদাররা হয়ে উঠলেন কলকাতার সব থেকে বড় ব্যবসায়ীরদের একজন। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে হালদাররা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। হালদার বাড়ির কালী পুজোর জাঁক জমক আরও বাড়তে থাকে। ছবি-শশী ঘোষ
  • সে সময়ে নির্মিত হালদার বাড়ির ঠাকুর দালান সেই ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেছে। এখনও বছরের বিভিন্ন তিথিতে বিভিন্ন পুজোর আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে প্রধান দুটি পুজো হল দুর্গাপুজো এবং কালীপুজো। তবে দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগে থেকে এই বাড়িতে কালীপুজো শুরু হয়েছিল।ছবি-শশী ঘোষ
  • কুমারটুলি থেকে মৃৎশিল্পী এসে হালদারবাড়িতে কালীপ্রতিমা নির্মাণ করেন। শিল্পী কাশী পাল বংশ পরম্পরায় এই কাজটি করে চলেছেন। কৃষ্ণনগর থেকে শিল্পী এসে ডাকের সাজে প্রতিমাকে সাজান। ছবি-শশী ঘোষ
  • কালীপ্রতিমার কাঠামো পুজো হয় দুর্গাষ্টমীর দিন আর মূর্তি গড়া শুরু হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন। হালদার বাড়ির কালীপুজোর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য মোমবাতির আলোয় কালীপূজোর আয়োজন। ছবি-শশী ঘোষ
  • কালীপুজোর রাতে বাড়ির সমস্ত বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে মোমবাতির আলোয় সারা ঘর সাজিয়ে তোলা হয়। তিনশ বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রথার এখনও কোন নড়চড় হয়নি। ঠাকুর দালানে লাগানো থাকে কালীর দশ রূপের ছবি। এই তৈলচিত্রের বয়স কত অনুমান করেও বলতে পারেননি এই বাড়ির বর্তমান সদস্যরা। ছবি-শশী ঘোষ
  • প্রথানুযায়ী কালীপুজোতে পাঁঠা বলি দেওয়ার চল ছিল। ১৯৪২-এর দাঙ্গার পর থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। তার বদলে চাল কুমড়ো, শসা, আখ বলি দেওয়া হয়। এই বলিদান পর্বটি এখনও হয়ে থাকে মশালের আলোতে। ছবি-শশী ঘোষ
  • ব্রিটিশ আমলে ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্থা শেফিল্ডের মালিক জন ইয়েটস হালদার বাড়ির কালীপুজো দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি খুশি হয়ে তাঁর কম্পানির ইস্পাত দিয়ে তৈরি দুটি খড়্গ জাহাজে করে পাঠিয়ে ছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল বেশি ওজনের, দেখতে রুপো নির্মিত খড়গের মত। ছবি-শশী ঘোষ
  • কালীপুজোর রাতে এই খড়্গ ব্যবহার করা হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দুটি নৌকায় করে প্রতিমা বিসর্জন হত মাঝগঙ্গায়। কিন্তু এখন আইনগত কারণে এসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিবারের সব সদস্যরা এখন একযোগে মিলিত হয়ে গঙ্গাতেই প্রতিমা বিসর্জন করেন। ছবি-শশী ঘোষ
  • হালদার বাড়িতে এখন অষ্টম প্রজন্ম চলছে। এই প্রজন্মের বরুণ কুমার হালদারের কথায়, হালদার বাড়ি শুধু পুজো নয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগ্রামের সঙ্গেও জড়িত ছিল। অনেক বিপ্লবী কার্যকলাপ এবং বিপ্লবীদের লুকিয়ে থাকার আশ্রয় দিয়েছিল এই হালদার বাড়ি। ছবি-শশী ঘোষ
Diwali kolkata
Advertisment