শীত মরশুম এলেই মানুষ ঠান্ডা এড়াতে গরম পোশাক ও হিটারের আশ্রয় নেন। কিন্তু শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখতে খাদ্যাভ্যাসেও বিশেষ পরিবর্তন প্রয়োজন। এই মরশুমে চায়ের মতো গরম পানীয় শুধু শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে না, সুস্থ রাখে। মশলা চা ছাড়াও শীতে এমন অনেক চা রয়েছে যা আপনাকে ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আসুন জেনে নিই ৭ ধরনের চা সম্পর্কে যা শীতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে।
ক্যামোমাইল চা
ক্যামোমাইল চা হল একটি ভেষজ চা, যা শীতকালে ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ এবং অনিদ্রার মতো সমস্যাও দূর করে। এই চা পান করলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয় এবং ভালো ঘুম হয়।
দারুচিনি চা
দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা শীতে শরীরকে উষ্ণ রাখে। এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে শুধু উষ্ণতাই পাওয়া যায় না, পাচনতন্ত্রেরও উন্নতি ঘটে।
আদা চা
শীতে আদা চা খাওয়া খুবই উপকারী। দুধ ও চা পাতা এড়াতে চাইলে জলে আদা ফুটিয়ে তাতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। এই চা শুধু শরীর গরম রাখে না, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
গ্রিন টি
শীতকালে গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করে না, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ভিতর থেকে ডিটক্সিফাই করে এবং শীতে শক্তি বজায় রাখে।
কাশ্মীরি কাহওয়া
কাশ্মীরি কাহওয়া হল মশলা এবং শুকনো ফলের একটি চমৎকার মিশ্রণ, যা শীতকালে শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি কেশর, দারুচিনি, এলাচ এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি খাওয়া শুধু উষ্ণতাই দেয় না, সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে।
লেবু চা
শীতকালে লেবু চা খাওয়া শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। লেবুতে ভিটামিন সি থাকায় শীতকালে ফ্লু এবং ভাইরাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।