/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/sIEk7kv0qfncbjwXmTzW.jpg)
Chewing gum: চিউং গাম।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/bJUKddgb8XXcGcA3Rqf2.jpg)
ক্ষতিকর দৈনন্দিন অভ্যাস
চিউইং গাম খাওয়া অনেকের কাছে দৈনন্দিন অভ্যাস। কেউ খায় মুখে দুর্গন্ধ রোধে, কেউ মনোযোগ বাড়াতে, আবার কেউ নিছক অভ্যাসবশত। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সাধারণ অভ্যাসটি আপনার মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে?
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/pN9Ht0AGU6kI0Tnjw4ul.jpg)
মাইক্রোপ্লাস্টিক গিলছেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (UCLA)-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আধুনিক চিউইং গামে রয়েছে হাজার হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা, যা আপনি প্রতিদিন নিজের অজান্তেই গিলে ফেলছেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/2elV2I7pWCqKFAOazYIJ.jpg)
গবেষকরা জানিয়েছেন
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানের চিউইং গামের বেস মূলত প্লাস্টিকজাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি—যেমন পলিইথিলিন ও পলিভিনাইল অ্যাসিটেট, যা সাধারণত প্লাস্টিক ব্যাগ ও আঠায় ব্যবহৃত হয়। চিবানোর সময় গামের সঙ্গে মুখের লালা ও ঘর্ষণে তৈরি হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা—মাইক্রোপ্লাস্টিক—যা শরীরে প্রবেশ করে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/aFSGC3hqDM05ddZII530.jpg)
দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ
এই কণাগুলি হজমনালি পেরিয়ে রক্ত-মস্তিষ্ক বাধা (blood-brain barrier) অতিক্রম করতে পারে। একবার যদি মাইক্রোপ্লাস্টিক মস্তিষ্কে ঢুকে যায়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি যন্ত্রাণার সৃষ্টি করতে পারে। এই যন্ত্রণা বা প্রদাহই হতে পারে স্নায়ু দুর্বলতা, স্মৃতিভ্রংশ (Alzheimer’s) বা পারকিনসন রোগের কারণ।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/LbjzBVJTWk6apbDG8ckB.jpg)
কীভাবে ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক?
১) প্রদাহ সৃষ্টি করে: মস্তিষ্কের কোষে দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্ল্যামেশন হয়। ২) অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়: কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্নায়ু কোষ নষ্ট করে। ৩) হরমোনে ব্যাঘাত ঘটায়: যা মেজাজ, মনোযোগ ও স্মৃতিতে প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে: দীর্ঘদিন ধরে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/lYq9GB1dJ4InlZO83wmb.jpg)
গবেষণার ফলাফল
এই গবেষণাটি এখনও পিয়ার-রিভিউ পর্যায়ে থাকলেও প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিগ্রাম চুইংগামে গড়ে ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক গলায় যায়। কিছু ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬০০ পর্যন্তও হয়েছে। অর্থাৎ বড় একটি গাম থেকে ১,০০০-এর বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা আপনার গলায় চলে যেতে পারে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/30tE43vuO5uT1YdEBMnJ.jpg)
বিকল্প কী?
১) প্রাকৃতিক গাম: গাছের রস (chicle) থেকে তৈরি প্রাকৃতিক গাম ব্যবহার করলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ঝুঁকি কমে। ২) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার: ফল, বাদাম, শাকসবজি খেলে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানো যায়। ৩) সিন্থেটিক গাম কম খাওয়া: নিয়মিত গাম খাওয়া কমালে আশঙ্কাও কমে যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/10/wSH9pX3RQLU6xQrRbeXp.jpg)
কেন সতর্ক হওয়া জরুরি?
বর্তমানে শরীরের (health) ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে গবেষণা অব্যাহত। তবে একাধিক উৎস থেকে প্লাস্টিক গ্রহণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি (risk) নিশ্চিতভাবেই বাড়ছে। যাঁরা নিয়মিত গাম চিবোন, তাঁদের জন্য এই সতর্কতা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।