সাতকাহন Photos

বাড়তি উপার্জনের আশায় ছুটির ইট ভাটাতেও কাজ করে শিশু শ্রমিক, দেখুন ফোটগ্যালারি

বছরের নির্দিষ্ট সময় ভাটায় শিশু শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেলেও, আশ্বিন কার্তিক মাসে ভাটার কাজে কিছুটা ভাটা পড়ে। এই সময় পুরনো ইট, ভাঙ্গাচোরা জঞ্জাল সরিয়ে ঝাড় পোঁছ করে নতুন কাজ শুরু হওয়ার তোরজোড় চলে।

Written by IE Bangla Web Desk

বছরের নির্দিষ্ট সময় ভাটায় শিশু শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেলেও, আশ্বিন কার্তিক মাসে ভাটার কাজে কিছুটা ভাটা পড়ে। এই সময় পুরনো ইট, ভাঙ্গাচোরা জঞ্জাল সরিয়ে ঝাড় পোঁছ করে নতুন কাজ শুরু হওয়ার তোরজোড় চলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Brick Field, worker, child, labour, money, west bengal, kolkata, ইটভাটা, শিশু শ্রমিক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, রোজগার, জীবন জীবিকা

ইট ভাটার মানুষের জীবনচক্র। ছবি- শশী ঘোষ

  • যে বয়সে বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে মাথায় চেপেছে সংসারের বোঝা। তাই ভোরের আলো ফুটতেই ইটভাটায় চলে আসে অনেক শিশু শ্রমিকরা। ছবি- শশী ঘোষ
  • বছরের নির্দিষ্ট সময় ভাটায় শিশু শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেলেও, আশ্বিন কার্তিক মাসে ভাটার কাজে কিছুটা ভাটা পড়ে। এই সময় পুরনো ইট, ভাঙ্গাচোরা জঞ্জাল সরিয়ে ঝাড় পোঁছ করে নতুন কাজ শুরু হওয়ার তোরজোড় চলে। ছবি- শশী ঘোষ
  • কার্তিক মাসের শেষ কিংবা অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকে ইটভাটার কাজ আবার পুনরায় শুরু হয়। বন্ধ সময়ে ভাটার পুরনো ইট, ভাঙ্গাচোরা জঞ্জাল সরাতে কাজে লাগানো হয় অনেক শিশুদের। বড়রা এই কাজ তেমন একটা করতে চায়না। ছবি- শশী ঘোষ
  • এখানে কাজ করতে আসা বেশীরভাগ বাচ্চারাই ইটভাটারই শ্রমিকদের ছেলে কিংবা আসের পাশের এলাকা থেকে কাজ করতে এসেছে। সকলেরই বয়স ৮ থেকে ১৫ এর কাছাকাছি। ছবি- শশী ঘোষ
  • আশ্বিন কার্তিক মাসে ইটভাটা বন্ধ থাকায় এই সময় ভাটার মাটি সমান করে, জঞ্জাল সরিয়ে উপরি রোজগার হয়। কাজ চলে দু বেলা। সকাল ৬টা থেকে ১১টা আবার দুপুর ১২.৩০ থেকে অন্ধকার হওয়ার পর্যন্ত। ছবি- শশী ঘোষ
  • দু-বেলা হোক বা যেকোনো একবেলা কাজ করলে মেলে ২০ থেকে ২৫টাকা। সকাল বেলা কাজের থেকে দুপুরবেলা ১২.৩০টার কাজকেই তারা বেছে নেয়। খেলার ছলেই কাজ সারে বাচ্চারা। ছবি- শশী ঘোষ
  • সিরাজ, সফিকুল, রাজীব তিন বন্ধু ইটভাটতেই এক সঙ্গে বড় হয়ে উঠেছে। ভাটা যখন বন্ধ থাকে তখন এই উপরি উপার্জনের মাধ্যমে হাতে কিছু টাকা আসে। ঘরে ভালো মন্দ খেতে পারে। সিরাজ তার ছোট ভাইকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছে এই ভাটায়। যদিও সে তাকে কাজ করতে দেয়না। ছবি- শশী ঘোষ
  • সফিকুলের কথায়, দুপুর বেলা থেকে কাজ শুরু করে অনেক সময় ভাটার ম্যানেজার এত কাজ করায় তখন খুব কষ্ট হয়। খুব খিদে পেয়ে যায়। একা দুজনে মিলে একটা মাঠের মাটি সমান করা সহজ না। ছবি- শশী ঘোষ
  • সফিকুলের ভাটার ম্যানেজার নুরুল গাজির বক্তব্য, বাচ্চাদের দিয়ে অনেক সময় একটু বেশি কাজ করিয়ে ফেলি এটা ঠিক। তবে কিছু করার থাকে না। মাটি সমান না হলে ইট রাখতে অসুবিধা হবে নতুন ইট তোলা যাবে না। ছবি- শশী ঘোষ
  • ইট ভাটার মানুষের জীবনচক্র ভাটাতেই আবর্তিত হয়ে যায়। তাই ভাটার শিশুদের জীবনেও এর কোনরকম ব্যতিক্রম ঘটেনা। ছবি- শশী ঘোষ
kolkata