New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/Traditional-drummers.jpg)
“ঢ্যাং কুড়কুড়, ঢ্যাং কুড়াকুড় বাদ্যি বেজেছে”। হ্যাঁ এবারে মহালয়ার আগে থেকেই একেবারে পুজোর ধুম লেগেছে শহর কলকাতায়। আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর বাকি আর মাত্র দিন দুই। ইতিমধ্যে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছচ্ছেন ঢাকিরা। ট্রেনের হর্ণ আর ঘোষণার মাঝে অবিরাম বাজিয়ে চলেছেন ঢাক। ছবি-শশী ঘোষ
'ঢ্যাং কুড়কুড়, ঢ্যাং কুড়াকুড় বাদ্যি বেজেছে'। মহালয়ার আগে থেকেই একেবারে পুজোর ধুম লেগেছে শহর কলকাতায়। আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর বাকি আর মাত্র এক দিন। শিয়ালদা স্টেশনে এসে পৌঁছচ্ছেন ঢাকিরা। ট্রেনের হর্ণ আর ঘোষণার মাঝে অবিরাম বাজিয়ে চলেছেন ঢাক। ছবি: শশী ঘোষ যদি বায়না করতে আসা কোনো ক্লাব বা পাড়ার চোখে পড়ে যান, তাহলে এ বছরের পুজোর রোজগার নিশ্চিত। তাই যতটা সম্ভব তেড়ে ঢাক বাজিয়ে যান এঁরা। ছবি: শশী ঘোষ একটু ভিডিও বা ছবি তুলতে তাঁদের পাশে গেলে ঢাক বাজাতে বাজাতেই জিজ্ঞাসা করছেন, “ঢাকি লাগবে?” ছবি: শশী ঘোষ পুজোর চারদিনই তাঁদের কাছে সারা বছরের মোটা অঙ্কের রোজগার। ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে রফা করেন অধিকাংশ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ছবি: শশী ঘোষ পুজোর আমেজকে ভরপুর করে তোলেন ঢাকিরা। ছবি: শশী ঘোষ গত দু'দিন ধরে বীরভুম, বাঁকুড়া, নদীয়া থেকে শিয়ালদা এসেছেন তাঁরা। ছবি: শশী ঘোষ সারাদিন দরদাম বায়না করতেই কেটে যাচ্ছে, রাতে শোয়ার জায়গা হচ্ছে শিয়ালদা স্টেশনেই। ছবি: শশী ঘোষ হঠাৎ বৃষ্টিতে অসুবিধায়ও পড়েছেন ঢাকিরা, কারণ হোটেলে থাকার পয়সা নেই। ছবি: শশী ঘোষ কলকাতার কোন পুজোয় নিজেদের প্রতিভা দেখাতে পারবেন, তাও সবাই এখনও জানেন না। ছবি: শশী ঘোষ ঢাকি কৃষ্ণদাস জানিয়েছেন, তিনি প্রতি বছর এভাবেই পুজোর সময় কলকাতায় আসেন। ছবি: শশী ঘোষ তারপর কোনো এক ক্লাব কর্তার সঙ্গে চলে যান তাঁদের পাড়ায়। ঠিকঠাক রাস্তাও চেনেন না কলকাতার। ক্লাবের লোকেরাই আবার শিয়ালদা স্টেশনে পুজোর পর পাঠিয়ে দেন। ছবি: শশী ঘোষ এভাবেই কেটেছে ১৪ বছর। নিতাই দাসের মুখেও একই কথা, ২০ বছর ধরে কলকাতায় আসেন রোজগারের আশায়। ছবি: শশী ঘোষ আগে কদর ছিল। সে কদর এখন বোঝেন ক’জন? পুজোর থিমের খরচের পরে ঢাকির খরচ আর পড়তায় পোষায় না অনেক ক্লাব কর্তাদের। ছবি: শশী ঘোষ তাই পুজোর সংখ্যা বাড়লেও, ঢাকিদের দর পড়ে গেছে বর্তমানে। ছবি: শশী ঘোষ এককালীন রোজগার করেন ঢাকিরা এই সময়। বছরের বাকি সময় চাষবাস, দিন মজুরের কাজ করেন তাঁরা। ছবি: শশী ঘোষ এই দারিদ্র্যের মধ্যেও শারদোৎসবের এক অন্য আবেদন তাঁদের কাছেও থেকে যায়। কারণ ঢাক বাজিয়ে এককালীন কিছু বেশি উপার্জন হয় এই সময়টায়। ছবি: শশী ঘোষ