Advertisment
সাতকাহন Photos

Kolkata's gold jewellery makers: সোনার হাতে জোটে না অন্ন

দশ ফুট বাই দশ ফুটের ছোট্ট ঘর। তাতে বসে তিন চারেক লোক। মাথা নিচু করে কাজ করে চলেছেন। সুক্ষ হাতের কাজে তৈরি করছেন সীতাহার থেকে মানতাসা, আংটি থেকে ঝুমকো। এরা আর কেউ নয়, সোনার কারিগর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gold Maker

চরম আর্থিক অনটনের মুখে কলকাতার সোনার কারিগরেরা। ছবি: শশী ঘোষ

  • দশ ফুট বাই দশ ফুটের ছোট্ট ঘর। তাতে বসে তিন চারজন লোক। মাথা নিচু করে কাজ করে চলেছেন। সূক্ষ্ম হাতে তৈরি করছেন সীতাহার থেকে মানতাসা, আংটি থেকে ঝুমকো। এঁরা আর কেউ নন, সোনার কারিগর। ছবি: শশী ঘোষ
  • বৌবাজারের সোনাপট্টিতে গেলেই দেখা মিলবে এঁদের। সারিবদ্ধ এক কামরার ঘুপচি ঘরে এরা কাজ করে চলেছেন দিনরাত। বেশীরভাগ কারিগরই মেদিনীপুর, ডেবরা, পিংলার। ছবি: শশী ঘোষ
  • নবীন চাঁদ বড়াল লেনের কারিগর স্বপন দে ৪২ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, আগে সোনার কাজ ছিল লাভজনক। পারিশ্রমিক ছিল অনেক। কিন্তু এখন তার অর্ধেকও লাভ নেই এই কাজে। ছবি: শশী ঘোষ
  • আগে দশ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৭০০ টাকা, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিশ হাজার টাকার ওপর। যার জন্য মজুরি অনেকটা কমে গিয়েছে। নবীন চাঁদ বড়াল লেনের কারিগর স্বপন দে ৪২ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, আগে সোনার কাজ ছিল লাভজনক। পারিশ্রমিক ছিল অনেক। কিন্তু এখন তার অর্ধেকও লাভ নেই এই কাজে। ছবি: শশী ঘোষ
  • সোনার কাজে একজন দক্ষ কারিগর হয়ে উঠতে সময় লাগে অন্তত পাঁচ বছর। তখন দিন প্রতি আয় দাঁড়ায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ছবি: শশী ঘোষ
  • সাতজন কারিগরের হাত ঘুরে তৈরি হয় একটা সোনার গয়না। ছবি: শশী ঘোষ
  • পাকা সোনা থাকে ২৪ ক্যারাট। ১০ গ্রামে ৮৪০ মিলি তামা অর্থাৎ খাদ মিশিয়ে তৈরি করা হয় ২২ ক্যারাট। এই পুরো কাজটাই কারিগররা নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করেন। ছবি: শশী ঘোষ
  • সোনার কাজে প্রথমে থাকেন গালাই কারিগর, এরপর যথাক্রমে সোনার তার টানা কারিগর, কাটাই পিস কারিগর, গড়িৎ কারিগর, পালিশ কারিগর, মিনার কারিগর, ফস্টিং কারিগর। এঁদের মধ্যে প্রধান গরিৎ কারিগর। ছবি: শশী ঘোষ
  • সোনার কারিগররা নগদ টাকার বিনিময়ে মূলত কাজ করেন লসে। লস বলতে সোনার পিস। ১০০ গ্রাম সোনা থেকে লাভ করেন ২ গ্রাম সোনা। ছবি: শশী ঘোষ
  • সোনার কারিগররা নগদ টাকার বিনিময়ে মূলত কাজ করেন লসে। লস বলতে সোনার পিস। ১০০ গ্রাম সোনা থেকে লাভ করেন দু'গ্রাম সোনা। যদিও বছর তিরিশ আগে সোনার কাজ করলে লাভের পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশী। তখন ১০০ গ্রাম সোনায় পাওয়া যেত সাড়ে চার থেকে পাঁচ গ্রাম সোনা। ছবি: শশী ঘোষ
  • এখন বড় বড় সোনার দোকান চলে আসায় লাভের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ অনেক কারিগরের। বড় সোনার দোকানগুলোতে গয়না বানানোর অর্ডার দিতে গেলে যে মজুরি নেওয়া হয় তা পুরোটাই নিয়ে নেয় দোকানের মালিকপক্ষ। এতে কারিগরদের কোনও লাভ হয় না। ছবি: শশী ঘোষ
  • সুনীল গুহ, গৌতম ঘোড়ুইদের মত কারিগরদের কথায়, গয়নার শোরুমের ১০ গ্রাম প্রতি লাভ পাঁচ থেকে ছ'হাজার টাকা। আর কারগির ১০ গ্রাম প্রতি লাভ করেন হাজার থেকে দু'হাজার টাকা। ছবি: শশী ঘোষ
  • ভালো পারিশ্রমিকের আশায় আগে অনেকেই এই পেশা বেছে নিতেন। এখন এই পেশায় তেমন রুজিরোজগার নেই বললেই চলে। ছবি: শশী ঘোষ
Advertisment