New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/Hilsha-cover.jpg)
মোহনবাগানই সাপোর্টর হলে হিংসে করে বলবে, 'বাজারে ইলিশ নেই বেশ হয়েছে'। ইস্টবেঙ্গলরা মুখ ব্যাজার করে বলবে, 'এইডা আবার কিছু হইলো! এই বর্ষায় বাজারে থাকনের কথা ইলিশ আর এইতো দেহি মাঠ পুরাই ফাঁকা'। ইলিশ নামটা শুনলেই বাঙ্গালির পেটের ভেতর আনচান করে ওঠে। ইলিশ মানে এক কথায় বাঙ্গালির কাছে আলাদা এক সেন্টিমেন্ট। বর্ষা এলেই বাঙালির পাতে ইলিশ না উঠলে খাওয়াটা ঠিক জমে না। এই বছর ইলিশ সংকটই দেখা যাচ্ছে বাঙালির পাতে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
মোহনবাগান সমর্থক হলে বলবেন, "বাজারে ইলিশ নেই বেশ হয়েছে।" ইস্টবেঙ্গলিরা ব্যাজার মুখে বলবে, "এইডা কোনও কথা হইলো! এই বর্ষায় বাজার ভইরা থাকনের কথা ইলিশের, আর এইতো দেহি মাঠ পুরাই ফাঁকা।" ইলিশ নামটা শুনলেই বাঙ্গালির পেটের ভেতর আনচান করে ওঠে। ইলিশ বাঙ্গালির কাছে আলাদা এক সেন্টিমেন্ট। বর্ষা এলে বাঙালির পাতে ইলিশ না উঠলে খাওয়াটা ঠিক জমে না। ছবি: শশী ঘোষ 'রুপোর পাতে মারে ঘা/পানির বুকে ফেলল পা।' এই ধাঁধার উত্তর - ইলিশ মাছ। কিন্তু এই ভরা মরশুমে ইলিশেরই দেখা নেই বাজারে। ছবি: শশী ঘোষ বর্ষা মানেই ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশভাজা, আরও কত কী! কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত বর্ষার ফ্লপ শো চলছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙালির রসনাকে কাঁদাচ্ছে ইলিশও। ছবি: শশী ঘোষ ইলিশ-বিহীন এই মরশুমের খলনায়ক আবহাওয়া। প্রত্যেক বছর অন্যান্য মাছের সঙ্গেই ইলিশের ঝাঁক উঠে আসে। এবছরের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। ছবি: শশী ঘোষ বাংলাদেশের জলসীমার কাছাকাছি চলে গিয়েও ইলিশ না পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। লোকসানের ভয়ে ইতিমধ্যেই দিশেহারা তাঁরা। ছবি: শশী ঘোষ অবস্থা এমনই, যে এবছর ভোজনরসিক বাঙালির পাতে আদৌ ইলিশ মাছ পড়বে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ছবি: শশী ঘোষ বাজার ঘুরলে বোঝা যায়, গত বছর এই সময়ে ছিল ইলিশে ইলিশে ছয়লাপ। এবছর তার এক শতাংশেরও দেখা নেই। ছবি: শশী ঘোষ মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে ইলিশ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি হলে তবেই তো ইলিশ উঠবে। এদিকে উত্তরবঙ্গ জলে ভাসলেও দক্ষিণবঙ্গে দেখা নেই বৃষ্টির। ছবি: শশী ঘোষ আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, বাংলার এই তিন মাস ইলিশের মরশুম। শ্রাবণের অর্ধেক কেটে গিয়েছে, যে পরিমাণ মাছের জোগান থাকার কথা তার কিছুই নেই। ছবি: শশী ঘোষ এর আগেও ইলিশের আকাল হয়েছে, মাছে ভাতে বাঙালি অল্পেতেই মানিয়ে নিয়েছিল। তবে এবছরের মতো হাহাকার সাম্প্রতিক কালে দেখা যায় নি। ছবি: শশী ঘোষ বাজারে হাতে গোনা যা ইলিশ আছে তা প্রায় সোনার দামে বিকোচ্ছে। মধ্যবিত্ত আয় কম ব্যয় বেশি করলেও ইলিশের যা দাম, তাতে ব্যয়টাও চলে যাচ্ছে হাতের নাগালের বাইরে। ছবি: শশী ঘোষ বাজারে যা ইলিশ, তা বেশিরভাগই খোকা ইলিশ। বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে। বড় খোকা ইলিশের ওজন ৯০০ গ্রাম। সেই ইলিশের দাম কেজিতে ১২০০-১৪০০ টাকা। ছবি: শশী ঘোষ এক কেজি ওজন হলে দাম ১৫০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম হলে ৮০০ টাকা ৷ তাও বেশিরভাগই আবার কোল্ড স্টোরেজের ইলিশ। ছবি: শশী ঘোষ মাছের দাম বেশি হওয়ার জন্যে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, সমস্যা অনেক। একদিকে হুহু করে বেড়েছে ডিজেলের দাম ৷ অন্যদিকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। বেড়েছে বরফের দামও। আশা একটাই, শীঘ্রই ভাল ইলিশ ঢুকুক বাজারে, কমুক দাম। ছবি: শশী ঘোষ হাতে গোনা যে কয়েকজন বাজার থেকে চড়া দামে ইলিশ কিনছেন, তাঁরা বলছেন, বছরে এই সময়টাতেই ইলিশ পাওয়া যায়। আর এই সময়ে যদি ইলিশ না খান এরপরে আর খাওয়া যাবে না। ছবি: শশী ঘোষ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলিশ মাছের যোগান বাড়ানোর জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার কথাও বলেছেন। তিনি জানান, ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ মাছ নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। ইলিশের চাষ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। ছবি: শশী ঘোষ সব কিছুর পরেও ইলিশ বাঙালির কাছে শুধু মাছ নয়, এক আবেগ। মাছের ডিম থেকে তেল, আর এই মাছের তেলেই মাছ ভাজা। রবিবার দুপুরে ছেলেবেলার ইলিশের স্মৃতি। এই স্মৃতিই যেন এখন ধুসর হতে বসেছে। ছবি: শশী ঘোষ