Advertisment
সাতকাহন Photos

আপনি কি জানেন বকরি ইদের আগে কলকাতাতেই বসে ভারতের অন্যতম বড় ছাগলের মেলা! দেখুন-ছবিতে

এই মেলায় হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ কাশ্মির, মালাদা, মুর্শিদাবাদের থেকে ছাগল আসে। এর মধ্যে সব থেকে ভালো জাতের ছাগল পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশের নাওদার। এই ছাগলের চাহিদাও থাকে প্রচুর। এর পরেই চাহিদা আমাদের রাজ্যের মালদা জেলার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hestings, কলকাতা, Goat, হেস্টিং, fair, ছাগল, Kolkata, মেলা, Market, west bengal, পশ্চিমবঙ্গ, India, ভারত

ছাগলের মেলা। ছবি- শশী ঘোষ

  • আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় কলকাতায় কত ধরনের মেলা আছে? আপনি খাবারের মেলা, মাছের মেলা, পর্যটন মেলার কথা বলবেন। আর এত মেলার মাঝে আপনি যার কথা বলবেন না তা হল, ছাগল মেলা। কলকাতার সব থেকে পুরনো আর বড় মেলাগুলোর মধ্যে একটি হল কলকাতা 'গোট ফেয়ার'। ছবি- শশী ঘোষ
  • কলকাতার সব থেকে পুরনো মেলাগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রতি বছর বকরি ইদের সপ্তাখানেক আগে থেকে এই মেলা বসে। ছবি- শশী ঘোষ
  • সৈয়দ আলি বাবার মাজারের পাশের এই মেলা অতি প্রাচীন। নির্দিষ্ট সন তারিখ না জানা গেলেও, শোনা যায় ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে এই মেলা। ছবি- শশী ঘোষ
  • আনুষ্ঠানিক ভাবে এই মেলা রেজিস্টার্ড হয়েছে অবশ্য এই সেদিন, ১৯৯৭ সালে। তখন থেকে এই মেলা চলে রাজ্য সরকারের সহয়তায়। ছবি- শশী ঘোষ
  • খিদিরপুরের দিকে যেতে হেস্টিংস মোড়ের কাছে বর্তমানে নতুন ফ্লাইওভারের পাশে খোলা মাঠে এই মেলার আয়োজন হয়। অনেকে এই মেলাকে 'হেস্টিংস গোট ফেয়ারও' বলেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • মেলার আয়োজকদের পক্ষে হাজী মহম্মদ ইয়াকুবের দাবি, এই মেলা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারতের সব থেকে বড় ছাগ মেলার মধ্যে একটি। ছবি- শশী ঘোষ
  • এখানে দেশের সব থেকে রাজ্য থেকে ছাগল নিয়ে আসা হয়। মেলা শুরু হওয়ার দুদিন আগে থেকে এখানে তাবু খাঁটিয়ে থাকতে শুরু করেন বহু মানুষ। এবছর মেলা শুরু হয়েছে ১৪ই আগস্ট। ছবি- শশী ঘোষ
  • এই মেলায় হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ কাশ্মীর, মালদা, মুর্শিদাবাদের থেকে ছাগল আসে। এর মধ্যে সব থেকে ভালো জাতের ছাগল পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশের নাওদায়। এই ছাগলের চাহিদাও থাকে প্রচুর। এর পরেই চাহিদা আমাদের রাজ্যের মালদহ জেলার। ছবি- শশী ঘোষ
  • উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বছর পঞ্চান্নের ছাগ ব্যবসায়ী হাজী আসফাক আলি। তিনি ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে এই মেলায় আসতেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত কোন বছরই বাদ যায়নি। তিনি বললেন, যত সময় গড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে এই মেলার চাহিদা তত বাড়ছে। ছবি- শশী ঘোষ
  • শুধুমাত্র ঈদের জন্যে ছাগল কিনতে আসা নয়। অনেকে এখানে আসেন বাড়িতে পোষার জন্যে ছাগল কিনতেও। ছবি- শশী ঘোষ
  • এই মেলার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূলত সাতটি প্রজাতির ছাগল আছে। জাগরাওয়া, পাঞ্জাবি, আজমেরি, পাটনা, তোতাপুরি, বরবরি, নওদা। ছবি- শশী ঘোষ
  • এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে, সকালে ছোলা এবং ছাতু, দুপুরে ছাতু এবং কাঁঠাল পাতা, রাতে ছোলা, ছাতু এবং ভুসি। সারাদিনই একটু পর পর কাঁঠাল পাতা অবশ্য খাইয়ে যেতে হয়। ছবি- শশী ঘোষ
  • এই সাত প্রজাতির ছাগলের মধ্যে দেখতে আকর্ষণীয় হয় বরবরি আর কাশ্মিরী। অন্যান্য ছাগলের তুলনায় এদের গায়ের লোম একটু বড় হয়। সাইজে একটু ছোট, নাদুস নুদুস প্রকৃতির। ছবি- শশী ঘোষ
  • ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এই মেলায় সর্বোচ্চ দু লাখ টাকা পর্যন্ত ছাগল পাওয়া যায়। ছবি- শশী ঘোষ
  • এবছর এই মেলায় সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা দামের ছাগল বিক্রি হয়েছে। হুসেন নামে এক বিক্রেতার কথায়, ঘরে নিয়ে পোষ মানানোর জন্যে যাঁরা ছাগল কেনেন, তাঁরা বেশি দাম দিতে রাজি থাকেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • এখানে ছাগল কিনতে আসা অনেকে মজা করে বলছেন হেস্টিংসের এই গোট ফেয়ার কোনও মেলা নয় এটা এক ধরণের ছাগলদের ফেস্টিভ্যাল। যে ফেস্টিভ্যালে সারা দেশ থেকে ছাগলরা একসঙ্গে একত্রিত হতে পারে। ছবি- শশী ঘোষ
kolkata
Advertisment