সাতকাহন সাতকাহন

পুজো আসছে, চিরাচরিত ব্যস্ততার ছবি কুমোরটুলিতে

পুজো এবং কুমোরটুলি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও এখন শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় মূর্তি তৈরি হয়, কুমোরটুলি ম্যাজিক আজও অক্ষুণ্ণ। পুজোর মাস কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা, এবছরও ব্যতিক্রম নয়। ছবি এবং প্রতিবেদন: শশী ঘোষ

Written by IE Bangla Web Desk

পুজো এবং কুমোরটুলি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও এখন শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় মূর্তি তৈরি হয়, কুমোরটুলি ম্যাজিক আজও অক্ষুণ্ণ। পুজোর মাস কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা, এবছরও ব্যতিক্রম নয়। ছবি এবং প্রতিবেদন: শশী ঘোষ

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kumartuli Photo Story

কুমোরটুলিতে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল

  • পুজো এবং কুমোরটুলি, দুইই বাঙালির জীবনের সঙ্গে মিশে আছে বহুযুগ ধরে। বংশ পরম্পরায় বাংলার কুমোররা এখানে দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করেন। দুর্গা পুজোর মাস কয়েক আগে শুরু হয়ে যায় অক্লান্ত পরিশ্রম। প্রতিমার জন্য কাদামাটি সংগ্রহ থেকে সাজসজ্জা, প্রতিটা কাজই হয় এখানে প্রথা মেনে। ছবি: শশী ঘোষ
  • রথযাত্রার দিন নদীর পাড় থেকে কাদামাটি সংগ্রহ হয়। তারপর সে মাটি গঙ্গা দিয়ে নৌকা করে নিয়ে আসা হয় কুমোরটুলিতে। ছবি: শশী ঘোষ
  • তার আগে বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে বানানো হয় কাঠামো, যার সঙ্গে শন, খড় বা পাটের দড়ি বেঁধে প্রতিমার অবয়ব তৈরি করা হয়। ছবি: শশী ঘোষ
  • নদীতে ভাসান দেওয়া লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতীর কাঠামো সংগ্রহ করে রেখে দেওয়া হয়। পুজোর আগে এই কাঠামোতেই তৈরি হয় নতুন প্রতিমা। ছবি: শশী ঘোষ
  • কুমোরটুলির প্রতিটি গলিতেই রয়েছে ঠাকুর তৈরির ঘর। এই ঘরগুলোতেই সারিবদ্ধভাবে রাখা থাকে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। নদীতে ভাসান দেওয়া লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতীর কাঠামো সংগ্রহ করে রেখে দেওয়া হয়। পুজোর আগে এই কাঠামোতেই তৈরি হয় নতুন প্রতিমা। ছবি: শশী ঘোষ
  • কুমোরদের এই পাড়ায় ঢুকলেই পাওয়া যায় ভেজা মাটির গন্ধ। চোখে পড়বে মূর্তি তৈরির জন্য পড়ে থাকা মাটি। তা দিয়েই খড়ের উপর প্রলেপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মূর্তি। কুমোরটুলির প্রতিটি গলিতেই রয়েছে ঠাকুর তৈরির ঘর। এই ঘরগুলোতেই সারিবদ্ধভাবে রাখা থাকে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। নদীতে ভাসান দেওয়া লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতীর কাঠামো সংগ্রহ করে রেখে দেওয়া হয়। পুজোর আগে এই কাঠামোতেই তৈরি হয় নতুন প্রতিমা। ছবি: শশী ঘোষ
  • বৃষ্টির জন্য ঠাকুর তৈরিতে সমস্যা হলেও, কাজ থেমে থাকে না। দরকার মত গ্যাস বার্নার জ্বালিয়ে ভেজা মাটি শুকিয়ে নেওয়া হয়। কুমোরদের এই পাড়ায় ঢুকলেই পাওয়া যায় ভেজা মাটির গন্ধ। চোখে পড়বে মূর্তি তৈরির জন্য পড়ে থাকা মাটি। তা দিয়েই খড়ের উপর প্রলেপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মূর্তি। ছবি: শশী ঘোষ
  • পুজোর আগে মূলত দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজই চলে। বছরের অন্য সময় কেউ কেউ অন্যান্য মূর্তি তৈরি করেন। কখনও ফাইন আর্টসের ছাত্রছাত্রীরা হাতে কলমে কাজ শিখতে আসেন। ছবি: শশী ঘোষ
  • প্রবীণ শিল্পী অশোক পাল জানান, বছর চারেক আগে পর্যন্ত মূর্তি তৈরিতে বেশ রমরমা বাজার ছিল। কিন্তু এখন এই বাজার অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। পুজো কমিটির কর্তারা এখন অনেক বেশি দরদাম করেন, তবে এবছর মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিমার দাম বাড়বে। ছবি: শশী ঘোষ
  • কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়। সূচনা কাঠের তক্তা দিয়ে, এরপর আসে 'খিলান'। এই অংশে বাঁশ এবং খড় দিয়ে কাঠামোর রূপ দেওয়া হয়। তারপর তার ওপর পড়ে মাটির প্রলেপ। ছবি: শশী ঘোষ
  • মাটির সঙ্গে মেশানো থাকে ধানের তুষ। এই মিশ্রণকে কুমোরটুলির ভাষায় বলে 'একমেটে'। এরপর গঙ্গার পলিমাটি দিয়ে হয় পরের প্রলেপ। এই প্রলেপকে বলে 'দোমেটে'। ছবি: শশী ঘোষ
  • এরপর এক এক করে বানানো হয় প্রতিমার হাতের ও পায়ের পাতা। জুড়ে দেওয়া হয় মূর্তির সঙ্গে। তারপর সুতির কাপড় কাদায় ভিজিয়ে প্রতিমার ফাটলগুলো সারিয়ে ফেলে খড়ি দিয়ে সাদা রং করা হয়। সবশেষে করা হয় প্রতিমার রং। তার পরেই আঁকা হয় মায়ের চোখ। শেষ হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। ছবি: শশী ঘোষ