আমরা সবাই জানি হস্তমৈথুন নিয়ে কেউ খোলাখুলি কথা বলে না। আসলে, বেশিরভাগ লোকেরা হস্তমৈথুন করে, তবে এটি সম্পর্কে কথা বলতে লজ্জা পায়।বলা হয়ে থাকে যে হস্তমৈথুন মানসিক উত্তেজনা কমানোর সর্বোত্তম উপায়। হস্তমৈথুন মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।এছাড়াও এ নিয়ে মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই এটাকে ভুল বলে মনে করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ভুলের কিছু নেই বরং এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তবে এর পরিমাণ যেন বেশি না হয় বলেও জানান তারা।হস্তমৈথুন মানে একজন ব্যক্তি তাঁর যৌন অঙ্গ স্পর্শ করে 'শারীরিক' আনন্দ উপভোগ করেন। হস্তমৈথুনের সময়, ব্যক্তি কিছু ধারণা কল্পনা করে, শারীরিক সুখের কথা চিন্তা করে নিজেকে উদ্দীপিত করে বীর্যপাত করে।প্রতিটি ব্যক্তি এই প্রক্রিয়াটি ভিন্নভাবে করে। কিন্তু কেন সত্যিই হস্তমৈথুন পুরুষের শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়? এছাড়াও এটি উর্বরতা প্রভাবিত করে? অনেকেই এই প্রশ্ন করেন।একজন পুরুষ মিলনের সময় যে শুক্রাণু বা বীর্য নির্গত করে তাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম শুক্রাণু থাকে এবং এই অবস্থাকে অলিগোস্পার্মিয়া বলে। পুরুষের শুক্রাণু মহিলাদের ডিম্বাশয়ে ভ্রমণ করে।যখন শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়, তখন একজন পুরুষের ডিম্বাণু প্রবেশ করতে পারে না, যা পুরুষ বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত করে। পুরুষের বীর্য থেকে যা বের হয় তাঁকে শুক্রাণু, তরল বা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন বলে।অণ্ডকোষে ক্রমাগত বীর্য উৎপন্ন হয়। বয়ঃসন্ধির পর পুরুষের শরীর শুক্রাণু উৎপাদন করতে থাকে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পুরুষরা হস্তমৈথুন করে।সবচেয়ে বড় কথা, হস্তমৈথুন এবং কম শুক্রাণুর সংখ্যার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হস্তমৈথুন করলে বীর্য কমে না।কারণ, আমাদের শরীর প্রতিদিন বীর্য তৈরি করে। এটাও সেভাবে দেখা যাচ্ছে। এমনকি যদি একজন ব্যক্তি শুক্রাণুর ঘাটতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হস্তমৈথুন বন্ধ করে দেন, তবুও তাঁর শরীরে শুক্রাণুর ঘাটতি থাকতে পারে।প্রত্যেকের শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদিন বীর্য উৎপন্ন হয়। একবার সেই গ্রন্থিতে ভরে গেলে তাও বেরিয়ে আসে।একজন পুরুষ যদি অন্তত এক বছর ধরে যৌন মিলন না করে থাকে, তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে। এছাড়াও, যৌন মিলনের এক বছর পরও যদি গর্ভধারণ না হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা করাতে হবে। (ছবি সৌজন্যে- ফ্রিপিক)