New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/12/Cover.jpg)
কোচবিহারের মদনমোহন। ছবি-শশী ঘোষ
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। পুজোর আমেজ কাটতে না কাটতে শুরু হয় রাস। আর এই রাস উদযাপনে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গের মানুষের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এর কারণ অবশ্যই কোচ বিহারের মদনমোহন। ছবি-শশী ঘোষ কোচ বিহারের রাসের মেলা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশ জুড়ে বিখ্যাত। প্রতি বছর মদনমোহন মন্দিরে রাস উৎসব দেখতে আসেন দেশ, বিদেশের পর্যটকরা। অনেকে মনে করেন, মদনমোহনকে মনে প্রাণে পূজা করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ছবি-শশী ঘোষ বর্তমানে ২০৬ বছরের পুরনো এই মন্দির ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ। আকৃতিতে মন্দিরটি চারচালা। জানা যায়, মদনমোহনের বিগ্রহটি আদতে কোচবিহারের মহারাজের গৃহদেবতা। বর্তমানে রুপোর সিংহাসনে নানা আভরণে ভূষিত রয়েছেন অষ্টধাতুর মদনমোহন। ছবি-শশী ঘোষ ১৮১২ সালে রাস পূর্ণিমার দিন ভেটাগুড়ির রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেছিলেন কোচবিহারের রাজা হরেন্দ্রনারায়ণ। সেদিন সেই উপলক্ষে বসেছিল প্রথম রাসের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ এলাকায় স্থানান্তরিত হয় এই মেলা। ছবি-শশী ঘোষ কোচ বিহারের মদনমোহন মন্দিরে মোট পাঁচটি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে একটি করে দেবী বিগ্রহ রয়েছে। ছবি-শশী ঘোষ কথিত আছে, ১৯১১ সালে রাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের সময়কালে অসম থেকে এখানে এসেছিলেন বৈষ্ণব গুরু শঙ্করদেব। বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করতে এসে তিনি বলেন, শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে রাধারানি বলে কিছু হয় না। আসলে একই অঙ্গে তাঁর দুই রূপ। এই ভাবনা থেকেই তৈরি হয়েছে কোচবিহারের মদনমোহন বিগ্রহ। ছবি-শশী ঘোষ। এক সময় রাসচক্র ঘুরিয়ে রাজারা রাসমেলার সূচনা করতেন। এখন রাজার পরিবর্তে মন্দিরের ট্রাস্টি এবং জেলাশাসক এই রাসচক্র ঘুরিয়ে মেলার সূচনা করেন। ছবি- শশী ঘোষ বৌদ্ধ ধর্মচক্রের আদলে বাঁশ ও শোলা দিয়ে ৩৫ ফুট উঁচু এবং ১০ফুট ব্যাসবিশিষ্ট কাঠামোটি অলংকৃত করা হয়। কাগজের দেবদেবীর মূর্তি দিয়েই হয় এই অলংকরণ। ছবি-শশী ঘোষ অতীতে এই মেলা চলত একমাস ধরে, এখন তা কমে ১৫-২০ দিন হয়েছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, অতীতে গরুর গাড়ি করে নেপাল, ভুটান থেকে মানুষরা এই মেলা দেখতে আসতেন। ছবি-শশী ঘোষ এখন সময় বদলেছে। রাসমেলা শুরুর দিন দুয়েক আগেই দেশের বাইরে থেকে লোকজন এসে ভিড় জমান। জনতাকে সামলাতে এ সময় কোচবিহার প্রশাসনকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। ছবি-শশী ঘোষ শোনা যায় ভৌতিক উপদ্রবের কারণে ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহার রাজ্যের ভেটাগুড়িতে চলে আসেন মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণ। ছবি-শশী ঘোষ কোচবিহারের প্রবীণদের কথায়, অগ্রহায়ণ মাসের রাসপূর্ণিমার দিন মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণ সন্ধ্যাবেলায় মানসাই নদী পেরিয়ে নতুন রাজধানী ও রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন এবং সেখানেই গৃহদেবতা মদনমোহনের রাসমেলার সূচনা করেন। ছবি-শশী ঘোষ ছোট হলেও পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সুন্দর শহর এই কোচবিহার। ছবি-শশী ঘোষ এই শহরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে লালদিঘি ঘিরে উনিশ শতকের ইউরোপীয় স্থাপত্যের ঘরবাড়ি দেখা যায়। আর শহরের পশ্চিমপ্রান্তে বয়ে চলেছে তোর্সা নদী। এই সব কিছু উপভোগ করতে চাইলে, ঘুরে আসতে পারেন কোচবিহার থেকে। ছবি-শশী ঘোষ