New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/medical-college.jpeg)
আগুন লাগে মেডিকেল কলেজের ফার্মেসি বিভাগে।
সবে বাগরির আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছেন শহরবাসী। গতকাল নাগেরবাজারে ঘটেছে বড় মাপের বিস্ফোরণ, মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আর আজ আবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আগুনের আতঙ্কে জানালা দিয়ে বেরিয়েছেন কিছু রোগী। আর বাকিদের বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। আতঙ্ক গ্রাস করে পুরো হাসপাতাল চত্বরকে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। বাগরি মার্কেটের পর আবার বড়ো আগুন শহরে। হতাহতের খবর নেই। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় অনেকের। আগুন নেভানোর চেষ্টায় মেডিকেল কলেজের ভেতরে ঢুকতে হবে, তাই ভেঙে ফেলা হয় দেওয়াল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করে দমকল। বের করে নিয়ে আসা হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। অনেক রোগীকে পাঠানো হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে, আগুনে নষ্ট হয়েছে প্রচুর ওষুধ। অগ্নিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। উদ্ধারকার্যে হাত লাগান রোগীর পরিজনরাও, সরানো হয় ৪০০ জন রোগীকে, অগ্নিকাণ্ডে জীবনদায়ী ওষুধের তখন আকাল। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে অনলাইন বিলিং বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বন্ধ হয় ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধের বিক্রি। বিল্ডিংয়ের ওষুধের দোকান থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান। যাতে আগুন না ছড়ায়, তাই বের করে আনা হয় স্যালাইনের বোতল এবং দাহ্য বস্তু। কার্ডিওলজি বিভাগেও, আতঙ্ক দেখা যায় রোগীদের মধ্যে। মেডিকেল কলেজে বেড কম থাকায় রোগীদের স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে বাধা দেখা দেয়, যদিও অনেককেই সরানো হয়েছে অন্যান্য হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমে। আগুন লাগে মেডিকেল কলেজের ফার্মেসি বিভাগে। পুড়ে ছাই হয়েছে বহু জীবনদায়ী ওষুধ। মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগ, এখানেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে রোগীদের।