New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/muharram-cover.jpg)
অনেক জায়গায় শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র ছাড়াই বের হয়েছে মিছিল। ছবি: শশী ঘোষ
মহরমের দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাজিয়া বের করেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মঙ্গলবার বহু জায়গা থেকে তাজিয়া এসে আমহার্স্ট স্ট্রিট, শিয়ালদায় জমায়েত হয়। তাজিয়ায় কালো শোকের পোশাক পরে অংশ নেন বহু ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ধর্মীয় রীতি মেনে বুকে চাপড় দিতে দিতে এগিয়ে চলে তাজিয়া। ছবি: শশী ঘোষ সকালে রোদ থাকলেও বেলার দিকে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিস্নাত শহরেই তাজিয়া চলে রাস্তায়। শিয়া মুসলিমদের কাছে মহরম শোকের দিন। নফল রোজা, জিকির-আসকর, নমাজের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাজিয়া বের হয়। হয় লাঠিখেলাও। ছবি: শশী ঘোষ কথিত আছে, আজকের দিনেই কারবালার যুদ্ধে হজরত মহম্মদের প্রপৌত্র হুসেনকে হত্যা করেন ইয়াজিদ। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ। সেই ঘটনারই শোক পালন করে মহরম। 'মহরম' আদতে একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ 'সম্মানিত'। ইসলামের সমস্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা এই মাসেই ঘটেছিল। ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম পবিত্র মাস মহরম। যুগে যুগে এই দিনযাপনের সাক্ষী শহর কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ। ছবি: শশী ঘোষ শোকপালনের অঙ্গ হিসেবে মাসের প্রথম দশদিন উপবাস রাখেন শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষ, তারপরেই হুসেনের জন্য পদযাত্রায় হাঁটেন শিয়ারা। তাজিয়া প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে এদিনের একটি আকর্ষণ। ছবি: শশী ঘোষ এও মনে করা হয়, এই দিনেই প্রথম মানব আদমকে সৃষ্টি করেন ঈশ্বর। এবং আদমকে এদিনেই স্বর্গ বা বেহেস্তে স্থান দেওয়া হয়, এবং পরবর্তীতে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ তাঁকে প্রতিনিধি মনোনীত করেন। ছবি: শশী ঘোষ শিয়া মুসলিমদের কাছে মহরম কোনও উৎসব নয়, এ এক শোকের দিন। ছবি: শশী ঘোষ তাজিয়া বের করা নিয়ে শহরে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। ছবি: শশী ঘোষ শহরের বেশ কিছু রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। শিয়ালদা, এজেসি বোস রোড, হেস্টিংস, খিদিরপুর এলাকায় আজ সারাদিনই যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ছবি: শশী ঘোষ অনেক জায়গায় শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র ছাড়াই বের হয়েছে মিছিল। ছবি: শশী ঘোষ সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্তরা মহরম মাসে ১০ দিন পর্যন্ত রোজা রাখেন। কথিত আছে যে, মহরমের একদিনের মূল্য তাঁদের কাছে ৩০ দিনের সমান। এদিকে এদিন নিজেদের শরীরে আঘাত করে শোকের প্রদর্শন করেন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্তরা। ছবি: শশী ঘোষ