সুন্দরবনের বিদ্যধরি নদীতে ঐতিহাসিক নৌকা বাইচ প্রদর্শনী। মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়তের অন্তর্গত মালঞ্চের বিদ্যাধরী নদীর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ৩০০ বছরেরও পুরনো। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বিশ্বকর্মা পূজোর বিসর্জন উপলক্ষে এখানে এই প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে বছরের পর বছর। নদী মাতৃক দেশ হওয়ার সুন্দরবন এলাকার মানুষ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই নৌকা বাইচ অনুষ্টানে অংশ নেয়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ কথিত আছে মনসা মঙ্গল কাব্যে বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসনোর ঘটনাকে স্মরণ করে এই নৌকা বাইচের শুরু। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়তের অন্তর্গত মালঞ্চের বিদ্যাধরী নদীর নৌকা বাইচ। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বিশেষ করে সুন্দরবন লাগোয়া যেসব মাঝি-মোল্লা-মৎস্যজীবীরা যাঁরা নদীতে মাছ ধরতে যান এবং মাছ ধরার মধ্য দিয়েই তাঁদের জীবিকা চলে, তাঁরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের জীবিকা বলতে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করা। তাই সারাবছরই নদীতে নৌকা চালিয়ে সংসার দৈনন্দিন জীবন এর ওপরে নির্ভরশীল হতে হয়। নৌকা বাইচের মতন প্রতিযোগিতাকে তারা বিনোদন হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন বলে জানান অনুষ্ঠানের সম্পাদক অমল বারুই। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ তিনি আরও জানান শুধু নৌকা প্রতিযোগিতায় নয় আমাদের নদী মাতৃক দেশ, এখন যে হারে নদীতে দূষণ হচ্ছে তাতে নদী নব্যতা হারাচ্ছে। নদীকে বাঁচানোর বার্তা দিতেই এখন আর বেশী করে এই ধরণের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব বেড়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ শতাব্দীপ্রাচীন সুন্দরবনের নদী, সংস্কৃতি-কৃষ্টি ধরে রাখতে এই পরম্পরা বজায় রাখার জন্য আরো বেশি করে সুন্দরবনের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বিকেল চারটে নাগাদ শুরু হয় নৌকা বাইচ। তিনটি রাউন্ডে চলে খেলা। ৮টি নৌকা বাইচের দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয় নৌকা বাইচ। যদিও বা সেদেশে একে নৌকা বাইস বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অন্যতম হেরিটেজ এই প্রতিযোগিতা। সঙ্গে সঙ্গে গানও গান প্রতিযোগীরা। শাল, শিল খারাই, ছাম্বুল এবং গারজন সহযোগে এটি তৈরি হয়। অন্যদিকে, ভারতের কেরালায় নৌকা বাইচ খুবই জনপ্রিয়। ভাল্লামকালি বলা হয়ে থাকে একে। ফুল ফালা দিয়ে সাজানো হয় নৌকা, এবং এই প্রতিযোগিতা নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী থাকেন সেখানকার নাগরিকরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন