'নতুন ধান্নে হবে নবান্ন, আজি এ বাংলায়"
ছবি-শশী ঘোষ
সুজলা-সুফলা গ্রাম বাংলার ছবি দেখতে তো বেশ লাগে। যেদিকে তাকাই মাইলের পর মাইল সবুজ ধানক্ষেত। কিন্তু ধান বোনা থেকে চাল হয়ে দোকানে পৌঁছনোর গল্পটা আমাদের কজনেরই বা জানা?
(ছবি-শশী ঘোষ)
উত্তর ২৪ পরগণার এক গ্রাম। রাজ্যের নানা জেলা থেকে মানুষ এখানে আসে শুধু রুটি-রুজির টানে।
(ছবি-শশী ঘোষ)
ধান পাকলে খ্ষেত থেকে তুলে এনে চাতালে ছড়িয়ে দিতে হয় জল শুকোনোর জন্য। কাজ চলে দিন রাত।
(ছবি-শশী ঘোষ)
কী ভাবছেন? কাজ শুরু হয় সক্কালবেলা? না, রাত ২টো থেকে উঠে পড়ে কাজে লাগেন এরা।
(ছবি-শশী ঘোষ)
পাকা ধান মাঠ থেকে কেটে আট থেকে দশ ঘণ্টা গরম ভাপ দিয়ে চৌবাচ্চায় ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর শুরু হয় চাতালে ছড়ানো।
(ছবি-শশী ঘোষ)
ওরা ধান শ্রমিক। কেউ পুরুষ, কেউ মহিলা, কেউ জোয়ান, কেউ বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া। কিন্তু পরিচয় শেষ মেষ একটাই। ওঁরা ধান শ্রমিক।
(ছবি-শশী ঘোষ)
শহুরে শৈশব দেখেছে সকাল হলেই নাকে মুখে গুঁজে মা বাবা ছোটেন কর্পোরেট অফিসে। আর এখানে শিশুরা দেখে আসছে রাত থাকতে ঘুম থেকে উঠে চাতালে পাকা ধান ছড়াচ্ছে মায়েরা, বাবারা।
(ছবি-শশী ঘোষ)
শীতের নরম রোদে এই ছবি যতটা চোখের আরাম দেয়, ছবির পেছনে ওঁদের জীবনগুলো কতটা মসৃণ?
(ছবি-শশী ঘোষ)
পাকা ধান চাতালে শুকিয়ে, জল ঝরিয়ে বস্তায় তুলতে পারলে মজুরি মিলবে। বস্তা প্রতি চালের জন্য মজুরি ২২ টাকা।
(ছবি-শশী ঘোষ)
বর্ষাকালে এক বস্তা চাল বস্তাবন্দি করতে সময় লেগে যায় কয়েকদিন। এক এক বস্তা চালের জন্য কাজ যতজন করুক, বস্তা প্রতি মজুরি ২২ টাকাই।
(ছবি-শশী ঘোষ)
ধান থেকে চাল প্রস্তুতি পর্বে যে ধোঁয়া তৈরি হয়, তা নাকি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, তাই রাজনৈতিক বিরোধিতাও আসছে মাঝেমধ্যেই।
(ছবি-শশী ঘোষ)
এনআরসি অথবা সিএএ নিয়ে দেশ উত্তাল অথচ এদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, "কে কাকে তাড়াবে? কোন দিন কাজ করতে করতে মরেই যাব"।
(ছবি-শশী ঘোষ)
কারোর বাড়ি সুন্দরবন, কারোর মুর্শিদাবাদ, অথচ গোটা জীবনের একটা বড় অংশ এদের কেটে যাচ্ছে এই ধান চাতালে। সন্তান খেলতে খেলতে শিখে নিচ্ছে ধান ছড়ানোর কৌশল।
(ছবি-শশী ঘোষ)
শীতের সকালের নরম রোদে কাজ করা একরকম। কিন্তু গ্রীষ্মের চাঁদি ফাটা রোদ্দুরেও রোজনামচা পালটায় না একটুও।
(ছবি-শশী ঘোষ)
ধান ছড়ানো আর ভাগ করে রাখার যন্ত্রের নামগুলো সব আজব। চিরুনি, পাউরুটি, এসব যন্ত্রই ওদের ফসল ফলানোর হাতিয়ার।
(ছবি-শশী ঘোষ)
হরগোবিন্দ পারুই, মিনতি বিশ্বাসদের কেউ কেউ এ বছর মকর সংক্রান্তিতে বাড়ি গেছেন। ছুটি নিলেই মজুরি নেই, জানেন তাঁরা।
(ছবি-শশী ঘোষ)
ভালো মালিক পেলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেন ওরা। তবে নিত্ত বঞ্চনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওরা।
(ছবি-শশী ঘোষ)
৮৫ বছরের সবচেয়ে বয়স্ক ধান শ্রমিক। বয়সের ভার তাঁকে নোয়াতে পারেনি। ভোর হতেই বেরিয়ে পড়েন ধান ছড়াতে। পরিবারের মানুষগুলোকে একটু ভালো রাখবেন বলে।
(ছবি-শশী ঘোষ)
এ বছর কাজ আছে, পরের বছর থাকবেনা জানেনা রামকৃষ্ণ পারুই। রাইস মিল এসে গেলে ছাঁটাই হবে ধান শ্রমিকরা। ভয় গ্রাস করেছে অনেককেই।
(ছবি-শশী ঘোষ)
বাংলার মানুষের থালায় থালায় ভাত এনে দেন যারা, তাঁদের ঘরেই অনিশ্চিত ভাতের গন্ধ।
(ছবি-শশী ঘোষ)
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন