New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/pathuriaghata-ghosh-bari-durga-puja.jpg)
বিধান সরণীতে ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের থেকে সামান্য দূরত্বেই বিদ্যাসাগর কলেজ, সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পাথুরিয়াঘাটা খেলাৎ ঘোষের বাড়ি। ছবি - শশী ঘোষ
বিধান সরণীতে ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের থেকে সামান্য দূরত্বেই বিদ্যাসাগর কলেজ, আবার সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পাথুরিয়াঘাটায় খেলাৎ ঘোষের বাড়ি। বর্ধমান থেকে ব্যবসার সূত্রে কলকাতায় এসে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বাড়ি তৈরি করেন রামরাম ঘোষ। আনুমানিক ১৭৮৪ সালে বাড়িটি তৈরি হয়। তবে রামরাম কলকাতা বাসের সূচনা করলেও, পাথুরিয়াঘাটা ঘোষ বংশের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর পুত্র রামলোচন ঘোষ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। ছবি: শশী ঘোষ হেস্টিংসের আমলে দেওয়ানও হন রামলোচন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ৪৬ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। রামলোচনের তিন পুত্র শিবনারায়ণ, দেবনারায়ণ এবং আনন্দনারায়ণ। ছবি: শশী ঘোষ দেবনারায়ণের পুত্র খেলাৎচন্দ্র ঘোষ উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি, ১৮৪৬ সাল নাগাদ, পুরনো বাড়ির পাশেই ৪৭ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে দুর্গাদালান-সহ নতুন বাড়ি তৈরি করে উঠে যান এবং সেখানে দুর্গাপুজো শুরু করেন। ছবি: শশী ঘোষ এক সময় এই বাড়িতে আসতেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, এবং কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বরা। ছবি: শশী ঘোষ ভারতের স্বাধীনতার একশো বছর আগের কলকাতায় এই পরিবারের ছিল রমরমা উপস্থিতি। ছবি: শশী ঘোষ পাথুরিয়াঘাটা রাজবাড়ি নামে পরিচিত এই বাড়ির পুজো বিখ্যাত হয়ে যায় খেলাৎ ঘোষের পুজো নামে। গিরিশ পার্ক এলাকায় যে কোনও কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেন এই বাড়ি। ছবি: শশী ঘোষ আজ তৃতীয়া। পাথুরিয়াঘাটা রাজবাড়ির সদস্যদের পুজোর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ষষ্ঠী থেকেই পূজো শুরু হয় এই বাড়িতে। ছবি: শশী ঘোষ মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি এই বাড়িতে মঠচৌরি চালের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমার পুজো হয়। পরানো হয় রূপালি ডাকের সাজ। আজ তৃতীয়া। পাথুরিয়াঘাটা রাজবাড়ির সদস্যদের পুজোর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ষষ্ঠী থেকেই পূজো শুরু হয় এই বাড়িতে। ছবি: শশী ঘোষ রূপালী তবকে মোড়া সিংহাসনে দেবীর অধিষ্ঠান। পুজোয় ব্যবহার করা হয় রূপোর বাসন। ডাকের সাজের একচালা মা দুর্গা সিংহ নয়, এখানে ঘোটকবাহিনী। ছবি: শশী ঘোষ মা-কে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় লুচি-মিষ্টি, সঙ্গে থাকে চিনির মঠ। এই পুজোতে দশমীতে মা-কে বিদায় দেওয়ার সময় ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি, যা বর্তমানে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ছবি: শশী ঘোষ এই বাড়িতে এখন ঘোষ পরিবারের অষ্টম প্রজন্মের বাস। তাঁরাই এখন পুজোর দায়িত্বে। ছবি: শশী ঘোষ আগেই বলা হয়েছে, এই রাজবাড়ির পূজোয় লুচি-মিষ্টি-মণ্ডা ভোগের সঙ্গে থাকে চিনির মঠ। আগে কাশী থেকে এলেও, এখন স্থানীয় মঠই দেওয়া হয় ভোগে। ছবি: শশী ঘোষ পুজোর সময় আপনারাও চাইলে একবার ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন এই রাজবাড়ির পুজো। ছবি: শশী ঘোষ