Advertisment
সাতকাহন Photos

কলকাতার রংরেজদের রংবাজি আজ ফ্যাকাসে, দেখুন ছবিতে

দেশের রাজধানী হিসেবে কলকাতা একসময় ব্যবসায়ীদের কাছে সেরা শহর ছিল। আর্মেনীয়, গ্রিক, পর্তুগিজ, ফরাসি, ডাচদের মতো বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে এসেছেন তাঁদের ব্যবসার সূত্রে। তেমনই অন্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এই মহানগরীতে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। এদেরই মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই রংরেজরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rangrez,রংরেজ,Kolkata,কলকাতা,Nakhoda,রং, colour,মুসলিম, Muslim,কাপড়,business,ব্যবসা,British

কলকাতার রংরেজ ছবি- শশী ঘোষ

  • আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে ব্যবসায়িক সূত্রে ওনারা রাজস্থান থেকে এই শহরে এসেছিলেন। কাজ ছিল মূলত জামা কাপড়ের সুতোয় রঙ দেওয়া। এখন সেই কাজ এবং ব্যবসা দুইই প্রায় লাটে উঠেছে হাল আমলের অত্যাধুনিক মেশিনের দৌলতে। ছবি- শশী ঘোষ
  • যে কোনও উৎসব হোক কিংবা বিপদতারিণী পুজোর ধাগা। তাতেই তারা রঙ করে দিতেন। রং নিয়ে কারবার বলে এদের বলা হত রংরেজ। এই রংরেজদের জীবনেই এখন রং এর অভাব। শহরে এখন হাতে গোনা দু-একজনই আছেন যারা জামা কাপড়ের সুতোয় রঙ দেওয়ার কাজ করেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • রংরেজ এটি আসলে একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ, রঞ্জক। অর্থাৎ, যারা কাপড়ে রং দেন। নাখোদা মসজিদের গলি ধরে এগোলে দেখা মিলবে এঁদের। ছবি- শশী ঘোষ
  • দেশের রাজধানী হিসেবে কলকাতা একসময় ব্যবসায়ীদের কাছে সেরা শহর ছিল। আর্মেনীয়, গ্রিক, পর্তুগিজ, ফরাসি, ডাচদের মতো বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে এসেছেন তাঁদের ব্যবসার সূত্রে। তেমনই অন্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এই মহানগরীতে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। এঁদেরই অন্যতম ছিলেন এই রংরেজরা। ছবি- শশী ঘোষ
  • ১৯১৯ সাল থেকে কাপড়ের সুতোয় রং দেওয়ার পারিবারিক ব্যবসা মহঃ সেলিমের। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ১৯৮১ তে তিনি ব্যবসার হাল ধরেন। সে সময়ে এই ব্যবসায় এতটাই লাভজনক ছিল যা এখন কল্পনাও করা যায় না। ছবি- শশী ঘোষ
  • মহঃ সেলিমের কথায় এই শহরে এখন ১০ শতাংশ রংরেজ আছেন। যাঁরা বাপ ঠাকুরদার আড়াইশো বছরের এই পারিবারিক ব্যবসাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে তিনিও একজন। ছবি- শশী ঘোষ
  • ১৯৯২ এর পর থেকে এই ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন আর এই ব্যবসায় কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বড় বড় রং করার মেশিন চলে এসেছে, এখন সব রংদারি সেখানেই হয়। ছবি- শশী ঘোষ
  • চিৎপুর এলাকায় ঢুকলে আগে দেখা যেত বেশীরভাগ বাড়ির ছাদেই বাঁশের উপর লাল নীল হলুদ সুতো শুকোতে। তবে এখন মহঃ সেলিমের বাড়ির ছাদ ছাড়া আরও কোথাও এই দৃশ্য দেখা যায় না। ছবি- শশী ঘোষ
  • এই বৃদ্ধের কথায় আগে সুতোকে কখনও গরম জলে কখনও ঠাণ্ডা জলে রং করা হত। শুধু ঠাণ্ডা জলে রং করা হলে তাতে কাপড়ের মান খুব খারাপ হয়ে যেত। কাপড় কাচলে রং উঠে যেত। গরম জলে রং পাকা হয়, সে জন্যে একটা চৌবাচ্চায় গরম জল, অন্যটিতে ঠাণ্ডা জল রাখা হত। ছবি- শশী ঘোষ
  • কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এসব চৌবাচ্চায় শেওলা ধরে গিয়েছে। রং মেশানোর কড়াইও কেউ উল্টে দিয়েছেন কেউ বা আবার বিক্রি করে দিয়েছেন কিলো দরে। ছবি- শশী ঘোষ
  • সেলিমের বাড়ির পাশেই রঙের কাজ করতেন মহঃ ইসমাইল। তাঁরও বাপ ঠাকুরদার আমলেরই ব্যবসা। সুতোয় রং করা বন্ধ করে দিয়েছেন বহু বছর। ছবি- শশী ঘোষ
  • তিনি জানালেন, আগে কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রংরেজদের কাছ থেকেই সুতোয় রং করিয়ে নিয়ে যেতেন। আর সেই কাপড় ছড়িয়ে পড়ত শহর থেকে গ্রামেগঞ্জে। ছবি- শশী ঘোষ
  • রঙের কাজ পুরোটাই হাতে করা হত বলে কাপড়ের গুণগত মানও খুব ভালো হত। বড় ফ্যাক্টরি এসে যাওয়াতে তাদেরও প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল। ছবি- শশী ঘোষ
  • একটা কাপড়ের সুতোকে ঠিকঠাকভাবে রং করতে একজন মানুষের সময় লাগে তিনঘণ্টা। সেই জায়গায় একটা মেশিন এক ঘণ্টায় বেশী সংখ্যক কাপড়ের রঙের কাজ শেষ করে ফেলতে পারে। যার জন্যে সব ব্যবসায়ীরা এখন বড় বড় মেশিনের ওপরেই ভরসা করছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • কলকাতার চিৎপুর রংরেজদের পেটের ভাত কেড়ে নিল পাইকপাড়া, বাঁকড়া, ধুলাগড়ের ফ্যাক্টরি। বাপ ঠাকুরদার খানদানি ব্যবসা ছেড়ে পেটের তাগিদে সবাই এখন অন্য পেশা বেঁছে নিয়েছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • একসময় বলিউডে একটি ছবির গানেও ছিল রংরেজদের কথা 'ও রংরেজ তেরে রং দরিয়া মে, ডুবনা হ্যায় ব্যাস তেরা বনকে...' এখন সেই রং ধুসর। এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পুরনো ঐতিহ্য। ছবি- শশী ঘোষ
kolkata
Advertisment