-
প্ল্যাটফর্ম চত্বরজুড়ে হকারের ভিড়। রংচটা দেওয়াল। গুটকা আর পানের পিক যত্রতত্র। ইতিউতি খসে পড়ছে পলেস্তরা। স্টেশনের এরকম ছবি সকলের চেনা। স্টেশনের এরকম ছবি ভোলবদল হয়েছে গত বছরই। নতুন রূপে সেজে উঠছে গোটা স্টেশন চত্বর। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
শপিং মল থেকে রেস্তোরাঁ। এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ থেকে সুইট রুম — পাঁচতারা হোটেলের মতো পরিষেবা মিলছে স্টেশনেই। পুরোপুরি বিমানবন্দরের ধাঁচে। শিয়ালদহ স্টেশনে পা রাখলেই মনে হবে এ যেন বিদেশের কোন রেল স্টেশন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
পুজোর কেনাকাটা করতে কলকাতা এসেছেন। ভিড় দেখেই ভয়ে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে শিয়ালদহ স্টেশন এসেই আপনার চক্ষু চড়কগাছ। জামা থেকে জুতো, গয়না থেকে অভিজাত রেস্তরার খাবার সবই আছে স্টেশনে। শিয়ালদহ স্টেশনেই তৈরি হয়ে গিয়েছে শপিং মল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
পূর্ব রেল প্রথম এই ধরনের বাজার চালু করেছে রেল স্টেশনের ভিতরেই। নাম ‘ফ্যামিলি মল’। ভারতের সব থেকে ব্যস্ততম স্টেশন শিয়ালদহ। প্রতিদিন ৯১৯টি ট্রেন ও প্রায় ১২ লক্ষ যাত্রীর আনাগোনা লেগেই থাকে এই স্টেশন জুড়ে। কলকাতা শহরের মধ্যে থাকা এই রেলওয়ে স্টেশন তাই বরাবর ব্যস্ত। স্টেশন বিল্ডিংয়ের বহু জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বহু ঘর রয়েছে যা অফিসের জন্য ব্যবহার করার কথা ভাবা হলেও তার দরকার পড়েনি। সেই অব্যবহৃত জায়গা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশ কয়েকটি স্টেশনে তাই শপিং মল, হোটেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই মধ্যে স্থান পেয়েছে শিয়ালদহ স্টেশন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে খবর, স্টেশন বিল্ডিংয়ের এক ও দোতলায় বড় অংশ ফাঁকা পড়ে আছে। যেখানে এই মল তৈরি করা হবে। যাত্রীদের চাপ সামলে এই কাজ করে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না। সৌন্দর্যায়নের সুযোগ আসে গত বছর লকডাউনের সময়ে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগজিটিউটিভ লাউঞ্জে তৈরি হয়েছিল আগেই। তা আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে বর্তমানে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এর পাশাপাশি খোলা হয়েছে শপিং মল। ডিভিশনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, রেল বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে চাইছে। তাই পড়ে থাকা জায়গাকে আমরা এভাবেই বাণিজ্যিক উপায়ে ব্যবহার করছি। আমাদের এই উদ্যোগকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছে। স্টেশনের দেওয়ালে মুর্যাল পেইন্টিং সৌন্দর্যায়নে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। স্টেশনে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়ার জন্য রয়েছে নয়া রাস্তা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে বসার জন্য আলাদা জায়গা। স্টেশনে থাকছে ভিডিও ওয়াল। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নামী সংস্থার ফুড চেন খুলে গিয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনেই। দক্ষিণ শাখার প্ল্যাটফর্মের কাছে একটি শপিং মল ইতিমধ্যে রেলযাত্রীদের কাছে বেশ পছন্দসই জায়গা হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ট্রেন লেট হলেই অফিস ফেরত লোকেরা কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন এই শপিং মল থেকেই। নামী সংস্থার রেস্তোরাঁর খাবারও পেয়ে যাচ্ছেন অল্প দামে। বিভিন্ন ছোট ছোট দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মেট্রোর ঢোকা-বেরনোর পথও তৈরি হচ্ছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
স্টেশনের দেওয়ালে শিল্পীদের আঁকা ছবি বিভিন্ন মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সুসজ্জিত ফুলের টবে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা স্টেশন। ট্রেন ধরতে এসে অনেকে পুজোর কেনাকাটা সেরে ফেলছেন স্টেশনেই। আধুনিকতার ছোঁয়ায় স্টেশনের একঘেয়েমি এখন আর নেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
একদিকে যেমন ট্রেন ধরার জন্যে মানুষ দৌড়চ্ছে অন্যদিকে শপিং মলে চলছে জমিয়ে কেনাকাটা। ট্রেন মিস হয়ে গেলেও কোনও চিন্তা নেই! পরের ট্রেন আসার আগেই সময় কাটিয়ে নেওয়া যাবে ফুড কোর্টে। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেল আধিকারিকরা মনে করছেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করলে নতুন এই শপিং মল আরও জনপ্রিয়তা পাবে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
