New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/The-men-who-transport-Durga-idols.jpg)
শরতের সাদা কাশফুলে ভরেছে বাংলার মাঠ। হাওয়াতে দুলছে সে ফুল। নীল আকাশে সাদা তুলোর মত মেঘও জানান দিচ্ছে পুজো এসেছে। এই পুজো ভালোবাসার। এখানে জাতি ধর্ম সব মিলে মিশে একাকার। এমন খুশির সময়ে সবাই চাই তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। কিন্তু এমনও কিছু মানুষ আছেন, যারা এসব কিছুর থেকে দূরে। শুধুমাত্র পেটের দায়ে। ছবি-শশী ঘোষ
মহাষষ্ঠীর আনন্দে মাতোয়ারা শহর। এই পুজো ভালোবাসার। এখানে জাতি ধর্ম সব মিলে মিশে একাকার। এমন খুশির সময়ে সকলেই চান পরিবারের সঙ্গে থাকতে। কিন্তু এমনও কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা এ সবকিছুর থেকে দূরে। শুধুমাত্র পেটের দায়ে। ছবি: শশী ঘোষ পুজো শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অনেক মানুষ বিভিন্ন পেশার খোঁজে কলকাতায় আসেন। দু-পয়সা বেশি রোজগারের আশায়। ছবি: শশী ঘোষ এদের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ আছেন, যাঁরা আসেন শুধুমাত্র ঠাকুরকে শিল্পীদের ঘর থেকে পুজার মণ্ডপ। এরপর সব শেষে মণ্ডপ থেকে নিয়ে ভাসান দিতে। ছবি: শশী ঘোষ এঁরা বেশিরভাগই চাষি কিংবা দিনমজুর। আমাদের কাছে পরিচিত প্রতিমাবাহক হিসেবে। এই বিশাল কর্মকাণ্ডে যাঁদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: শশী ঘোষ এঁদের অবদান ছাড়া পুজা কখনও সুসম্পন্ন হতো না। কুমোর পাড়ার শিল্পীদের ঘর থেকে পুজো মণ্ডপ পর্যন্ত বিশাল আয়তনের প্রতিমা নিয়ে কর্মযজ্ঞে সেতুবন্ধনের কাজ করেন এঁরাই। ছবি: শশী ঘোষ বছরের পর বছর এই মানুষগুলোই থেকে যান সবার অলক্ষ্যে। ছবি: শশী ঘোষ ৩০ থেকে ৪০ জনের হয় এক একটি দল। এরপর মহালয়া কিংবা তার পরের দিন থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবার একাও আসেন। ছবি: শশী ঘোষ সুন্দরবন অঞ্চল, নদীয়া, রায়দিঘি, কাকদ্বীপ, সোনারপুরের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষরাই এই কাজে বেশী আসেন। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে প্রতিমাবাহকের কাজ করতে। ছবি: শশী ঘোষ কুমোরটুলিতে এঁরা 'মুটে' নামে পরিচিত। বংশ পরম্পরায় অনেকে এই কাজ করে আসছেন। ছবি: শশী ঘোষ সুন্দরবনের ক্যানিং থেকে দল নিয়ে এসেছেন বছর তিরিশের শরৎ নস্কর। বাবা রমু নস্করের সঙ্গে তিনি ষোল বছর বয়স থেকে কলকাতায় ঠাকুর তোলার কাজে আসতেন। বছর দুয়েক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর নিজেই দল নিয়ে শহরে আসেন। ছবি: শশী ঘোষ ঝড়খালি থেকে দল নিয়ে এসেছেন হারাণ মণ্ডল এবং আনোয়ার। তাঁদের দলের সদস্য সংখ্যা ২৫। গত সাত বছর ধরে তাঁরা মহালয়ার পরদিন থেকে কলকাতায় আসেন। সুন্দরবনের ক্যানিং থেকে দল নিয়ে এসেছেন বছর তিরিশের শরৎ নস্কর। বাবা রমু নস্করের সঙ্গে তিনি ষোল বছর বয়স থেকে কলকাতায় ঠাকুর তোলার কাজে আসতেন। বছর দুয়েক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর নিজেই দল নিয়ে শহরে আসেন। ছবি: শশী ঘোষ এই দলের বেশিরভাগই মাটি কাটার কাজ করেন। এবছর তেমন রোজগার ছিল না। তাই আশা, পুজোর সময় দুপয়সা যদি রোজগার করা যায়। ঝড়খালি থেকে দল নিয়ে এসেছেন হারাণ মণ্ডল এবং আনোয়ার। তাঁদের দলের সদস্য সংখ্যা ২৫। গত সাত বছর ধরে তাঁরা মহালয়ার পরদিন থেকে কলকাতায় আসেন। সুন্দরবনের ক্যানিং থেকে দল নিয়ে এসেছেন বছর তিরিশের শরৎ নস্কর। বাবা রমু নস্করের সঙ্গে তিনি ষোল বছর বয়স থেকে কলকাতায় ঠাকুর তোলার কাজে আসতেন। বছর দুয়েক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর নিজেই দল নিয়ে শহরে আসেন। ছবি: শশী ঘোষ শিল্পীদের ঘর থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত নিয়ে গেলে একটা দলের প্রতিমা পিছু রোজগার সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। পাঁচ দিনে প্রত্যেকের রোজগার হয় দুই থেকে তিন হাজার। ছবি: শশী ঘোষ খাওয়া আর ঘুমোনোর সময়টুকু পর্যন্ত পান না। টন টন ওজনের প্রতিমা তাঁরা সহজেই কাঁধে তুলে মণ্ডপে পৌঁছে দেন। দল বেঁধে কাজ করায় তাঁদের কাছে এটা আনন্দের। ছবি: শশী ঘোষ এখান থেকে যা রোজগার হয় তার থেকে সামান্য টাকা বাঁচিয়ে আপনজনের জন্য কলকাতা থেকে জামা কিনে নিয়ে যান। যদিও এই প্রতিমাবাহকরা যখন বাড়ি ফেরেন, তখন পুজো শেষ হয়ে যায়। ছবি: শশী ঘোষ এঁরা শহরে আসেন, কাজ করেন, আবার চলেও যান। এসব মানুষরা থেকে যান লোকচক্ষুর অন্তরালে। শিল্পীর ঘর থেকে সর্বজনীন মন্ডপ পর্যন্ত পুজোর যে সেতু তৈরি হয়, তা তৈরি করে দিয়ে যান এই মানুষগুলোই। ছবি: শশী ঘোষ