-
ধান বোনা থেকে লাঙল টানা, সার দেওয়া থেকে জমি তৈরি, সাধারণভাবে এসব কাজ করতে দেখা যায় পুরুষদেরই। তবে হাবড়ার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আনখোলা গ্রামে ছবিটা অন্য। চাষের জমিতে গরু দিয়ে লাঙল টানানো থেকে জমি তৈরি, সবই করছেন দুই কন্যা। বাবা ভোলানাথ মণ্ডল মারা গিয়েছেন চার বছর আগে। এরপর থেকে কখনও ধান, কখনও সব্জি চাষ করে সংসারের হাল ধরেছেন তাঁর দুই মেয়ে। ছবি: শশী ঘোষ
-
দীপা এবং সমাপ্তি মণ্ডল, দুজনেই স্নাতক। চোখে সরকারি চাকরির স্বপ্ন। গ্র্যাজুয়েশনের পর থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই। বাড়ি বসে না থেকে চাষের কাজ বেছে নিয়েছেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
দীপা এবং সমাপ্তির এই লড়াইয়ের কথা এখন এলাকার সকলের মুখে মুখে। অঞ্জলি দেবী এবং তাঁর স্বামী প্রয়াত ভোলানাথ মণ্ডলের ছয় মেয়ের মধ্যে দুজন হলেন সমাপ্তি এবং দীপা। ছবি: শশী ঘোষ
-
ছয় মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সমাপ্তি। ছোট থেকেই মা-বাবার হাত ধরে চাষের জমিতে যেতেন। তখন থেকেই দেখতে দেখতে চাষের কাজ শেখা। ছবি: শশী ঘোষ
-
২০১৩ সালে এলাকার একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে এবং ২০১৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে পরবর্তীতে হাবড়া শ্রী চৈতন্য মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পাশ করেন ২০১৯ সালে। ছবি: শশী ঘোষ
-
দিদি দীপা মণ্ডল ২০১৪ সালে গ্র্যাজুয়েশন করে চাকরি পান নি। দুই বোন চাষবাসের কাজ করছেন পেট চালাতে। তবে তাঁদের এই কাজে কোনও লজ্জা নেই, বরং তাঁরা গর্ব করে বলেন, এখন মেয়েরা কোনও কিছুতে পিছিয়ে নেই। ছবি: শশী ঘোষ
-
সমাপ্তির কথায়, "মেয়েরা এখন অনেক কাজ করে। কোনও শিক্ষিত মেয়ে যদি পড়াশোনা শেষ করে চাষের কাজে আসে, তবে তা লাভজনক। কোন জমিতে কোন ফসল লাগালে ভালো হবে তা যদি পড়াশোনা করে ঠিক করা যায়, তবে এতে ফসল ভালো হবে। ছবি: শশী ঘোষ
-
লোকে কী বলবে, তার ধার ধারেন না সমাপ্তি এবং দীপা। সৎ পথে থেকে উপার্জন করলে কোনও কাজই ছোটবড় হয় না, বলেন তাঁরা। ভবিষ্যতে কোথাও কাজ পেলেও চাষের কাজটাও পাশাপাশি চালিয়ে যাবেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
সমাপ্তির ছয় বোনের মধ্যে চারজনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা ভোলানাথ মণ্ডল মারা গিয়েছেন বছর কয়েক আগে। এরপর থেকেই সংসারের হাল ধরেছেন সমাপ্তি। ছবি: শশী ঘোষ
-
বর্তমানে চার বিঘা জমি, দুটি বলদ ও মা, এক অবিবাহিত দিদিকে নিয়ে তিনজনের এই সংসার। ইটের গাঁথনি মাটির মেঝেতে তাঁদের এই সংসারে যেন রূপকথার গল্পের কোনও দৃশ্য। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
-
হাবড়ার চৈতন্য কলেজের অধ্যাপক ডঃ প্রণব কুমার দাস একদিন ক্লাসে আলোচনার প্রসঙ্গে বলছিলেন, এই দেশে মহিলা শ্রমিক দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু মহিলা কৃষক তেমন দেখা যায় না। তখনই ক্লাসের মাঝখানে সমাপ্তি উঠে বলেছিলেন, তিনি নিজে একজন মহিলা কৃষক। ছবি: শশী ঘোষ
-
ছোট থেকে বাবার পাশে থেকে বাড়ির চাষবাসের কাজের সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনার পাশাপাশি এই চাষবাসকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। প্রণববাবু তাঁর ফেসবুক পেজে এই পুরো ঘটনাটি শেয়ার করেন। ছোট্ট পোস্টটি কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি: শশী ঘোষ
-
প্রণববাবুর কথায়, "গ্রামেগঞ্জে এরকম অনেক সমাপ্তি ছড়িয়ে আছে। কিন্তু তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ধরনের মেয়েদের যদি খুঁজে এনে ঠিকমতন গাইড করা যায় তবে আমাদের বাংলায় চাষের ক্ষেত্রে নবজাগরণ আসবে।" ছবি: শশী ঘোষ
