দাওয়াইপানি
দার্জিলিঙের কাছেই ফাটাফাটি অফবিট ডেস্টিনেশন দাওয়াইপানি। ভূপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত অপূর্ব ছোট্ট এই গ্রাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এককথায় অসাধারণ। কোলাহল এড়িয়ে যাঁরা একটু নির্জন-নিভৃতে দিন কয়েকের অবসর কাটাতে চাইছেন তাঁদের জন্য এই জায়গা একেবারে পারফেক্ট চয়েজ। (ছবি সূত্র- Google)
মিমবস্তি
নিরিবিলি যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের জন্য দার্জিলিঙের এই পাহাড়ি গ্রাম এক কথায় দারুণ চয়েজ। এনজেপি কিংবা শিলিগুড়ি থেকে ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামের দূরত্ব মেরেকেটে ৭৫ কিলোমিটারের মতো। পাহাড়ি প্রান্তের অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবে। গ্রামের যেদিকেই যাবেন সেদিক থেকেই চোখে পড়বে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা। থাকার জন্য এখানেও বেশ কয়েকটি হোম স্টে আছে। থাকা-খাওয়া-সহ খরচ মাথাপিছু ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা। (ছবি সূত্র- Google)
ফিকালেগাঁও
উত্তরবঙ্গে একমাত্র আপেলের বাগান এই ফিকালেগাঁওতেই পাবেন। উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি গ্রাম দিন দিন ভ্রমণ রসিকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। এখানেও বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। মাথাপিছু খরচ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। (ছবি সূত্র- Google)
ঋষিহাট
দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রাম। গোটা গ্রাম জুড়ে নাম না জানা রংবেরঙের বাহারি ফুলের সমাহার। দিনভর পাহাড়ি এই প্রান্তে অজস্র পাখির কলকাকলি এলাকায় যেন একটা মাদকতা এনে দেয়। শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন এই তল্লাটে। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। থাকা-খাওয়া সহ মাথাপিছু খরচ হাজার দেড় হাজার টাকার মতো। (ছবি সূত্র- Google)
জামুনি
মূলত এই এলাকায় লেপচা এবং গুরুং জাতির বসবাস। এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের চারিদিক চা বাগানে ঘেরা। নাম না জানা, হরেক রকম বাহারি ফুলের সমাহার আর অর্কিডে ভরে রয়েছে গোটা গ্রাম। এই গ্রামের সুদৃশ্য ছোট্ট ছোট্ট পাহাড়ি বাড়িগুলির ছাদ থেকে বারান্দা পর্যন্ত ঝুলে থাকে অসংখ্য নাম না জানা ফুল। দিনভর পাখির কলকাকলি শুনতে পাবেন। এনজেপি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই ছোট্ট পাহাড়ি প্রান্ত। (ছবি সূত্র- Google)
বিজনবাড়ি
ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের একটা বড় অংশের পছন্দ এই ছোট্ট পাহাড়ি উপত্যকা। দার্জিলিঙের কাছে এই পাহাড়ি প্রান্তের অন্যতম মূল আকর্ষণ হল এখানকার রঙ্গিত নদী। গ্রামেরই বুক চিরে বয়ে চলেছে খরস্রোতা নদী। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট সব হোমস্টে। এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও এককথায় অসাধারণ। (ছবি সূত্র- Google)
লেপচাজগৎ
শহর দার্জিলিং থেকে মেরেকেটে কুড়ি কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই পাহাড়ি গ্রাম। পাইন গাছের সারি দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট জনপদ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতো। এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। এখানে কাটানো দিন কয়েকের অবসর জীবনভর আপনার স্মৃতির পাতায় সোনালী হরফে লেখা হয়ে থাকবে। (ছবি সূত্র- Google)