লোকসভার মূল হলঘরে দুই অনুপ্রবেশকারী ধোঁয়ার পাইপ ভেঙে ফেলার পর নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বলা হচ্ছে, বুধবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কারণে ঠিক ২২ বছর আগের ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছেলোকসভা ও সংসদ ভবন চত্বরে ধোঁয়ার পাইপ ফেটে যাওয়া চারজনকে তাদের দুই সহযোগী-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম ও অমল শিন্ডে। বিরোধীরা এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবিতে সরকারকে ঘায়েল করেছেলোকসভায় যখন জিরো আওয়ারের আলোচনা চলছিল তখন দুপুর ১টার দিকে সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি. এই দুই যুবক দর্শক গ্যালারি থেকে মূল হলের দিকে ঝাঁপ দেন'তানাশাহি নহি চলেগি' স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা পাইপ ছুড়ে দেয় যা হলুদ ধোঁয়া নির্গত হয়। হল ধোঁয়ায় ভরে গেলউপস্থিত সাংসদরা অনুপ্রবেশকারীদের মারধর করে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন। একই সময়ে সংসদভবন এলাকায় স্লোগান দিতে দিতে নীলম ও অমল শিন্ডে দুজনেই ধোঁয়ার পাইপ ভেঙে ফেলেন।মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা লোকসভায় অনুপ্রবেশকারী এই দুই যুবককে দর্শনার্থী পাস দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন।ঘটনার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, অধীররঞ্জন চৌধুরী সহ প্রায় ১০০ জন সাংসদ হলটিতে উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রায়পুর এবং ভোপালে গিয়েছিলেন বলে হলটিতে ছিলেন না।এমনকি ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ কারণে গতকাল সংসদ চত্বরেও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।