-
কলকাতা পুরসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। ঘটা করে এর আগে সংগঠনে ‘এক ব্যক্তি-এক পদ’ নীতি প্রণয়ণের কথা বলা হলেও পুর-প্রার্থী তালিকা তৈরির সময় সেই নীতির প্রতিফলন তেমন নজরে এলো না। তৃণমূলের কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকায় এবার গতবারের ৪ বিদায়ী কাউন্সিলর সহ মোট ৬ বিধায়ককে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে। লড়াই করবেন ১ সাংসদও।
-
এবারও তৃণমূলের প্রতীকে পুরভোটে লড়াইয়ে কলকাতা বন্দরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারও ওই কেন্দ্র থেকেই লড়াই করবেন। তাঁর নাম ঘোষণার পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দল প্রার্থী করেছে, আমি লড়াই করব। ছোট থেকে আমি কাউন্সিলর। আবার এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ পাব। এটা ভেবেই ভালো লাগছে।’
-
১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গত কয়েক দশক ধরে কাউন্সিলর অতীন ঘোষ। গত ১০ বছর ধরে মেয়র পারিষদ তিনি। ২০১৮ সাল থেকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র। কাজের মানুষ বলেই পরিচিত। এহেন জনপ্রতিনিধিকেই একুশের ভোটে কাশীপুর-বেলগাছিয়া থেকে বিধানসভা ভোটের টিকিট দেয় তৃণমূল। তাতেও সফল অতীন ঘোষ। পুর যুদ্ধে তাই ফের পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদের উপর আস্থা রাখল শাসক দল। নিজের ওয়ার্ড থেকেই লড়াই করবেন অতীনবাবু। তিনি বলেছেন, ‘দলীয় দায়িত্ব পালন করব। বস্তিবাসীদের উন্নয়ে, তাঁদের মানসিকতা বদলে স্বার্থে কাজ করব।
-
রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও এবার কলকাতা পুরসভা ভোটে তৃণমূলের তরফে প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে দেবাশিস কুমারকে। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। সামলেছেন মেয়র পারিষদের দায়িত্ব। এবারও সেই আসন থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
-
দক্ষিণ কলকাতার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ছোট লালবাড়িতে গিয়েছিলেন দেবব্রত মজুমদার। পরে যাদবপুরে বাম হেভিওয়েট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে একুশের বিধানসভায় ঘাস-ফুল প্রতীকের হয়ে হারিয়ে জায়েন্ট কিলার হয়ে উঠেছেন তিনি। এবারও শাসক শিবির পুরযুদ্ধে নিজের ওয়ার্ড থেকেই প্রার্থী করেছে দেবব্রতবাবুকে।
-
বাকি দুই বিধায়কের মধ্যে অন্যতম দলের পুরনো মুখ বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী তিনি। গতবার এই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে, ফের একবার দলীয় এই বিধায়কের উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল।
-
১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিগত কয়েক দশক ধরে লড়াই করে জিতেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়রের ওয়ার্ড বলেই এই এলাকার খ্যাতি ছিল। তবে, শোভনের তৃণমূলে ত্যাগের পর এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
-
গত ২৫ বছর ধরে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালা রায়। তাঁর দল বদল হলেও ভোটের ফলাফলে কোনও ফারাক হয়নি। ২০১৯ সালে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন মামাদেবী। তবে, ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে এবারও তাঁকে প্রার্থী করেছে জোড়া-ফুল ব্রিগেড।
