রাজনীতি রাজনীতি

শুধু অরবিন্দ কেজরিওয়ালই নন, তাঁর আগে এই পাঁচ মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে

এই বছরের শুরুর দিকে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনকে একটি কথিত জমি কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত একটি তহবিল তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করেছিল।

Written by IE Bangla Web Desk

এই বছরের শুরুর দিকে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনকে একটি কথিত জমি কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত একটি তহবিল তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kejriwal arrest

অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার (PC : PTI)

Arvind Kejriwal
গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি এখনও ইডি হেফাজতে রয়েছেন। হাইকোর্ট গ্রেফতার থেকে দায়মুক্তির আবেদন খারিজ করার পরে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ, তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছে। (পিসি: অরবিন্দ কেজরিওয়াল/এক্স)
Hemant Soren
এই বছরের শুরুর দিকে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনকে একটি কথিত জমি কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করেছিল। ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন, তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। (পিসি: পিটিআই)
Hemant Soren
হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের পর, জেএমএম হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চম্পাই সোরেনের কাছে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হস্তান্তর করে। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Jayalalitha
গ্রেফতার হওয়া প্রথম মুখ্যমন্ত্রী জে. জয়ললিতা। ১৯৯৬ সালে, তৎকালীন AIADMK প্রধান প্রয়াত জে. জয়ললিতা ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Jayalalitha
১৯৯৬ সালের ৭ ডিসেম্বর জয়ললিতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রামবাসীদের জন্য টিভি সেট ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে এক মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে, বেঙ্গালুরুর একটি আদালত অবৈধ সম্পদের মামলায় জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Jayalalitha
জয়ললিতাকেও বিধায়ক হিসেবে অযোগ্যতার মুখে পড়তে হয়েছিল। অঘোষিত সম্পদের মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
m Karunanidhi
জয়ললিতা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ৩০ জুন, ২০০১ তারিখে তামিলনাড়ু পুলিশ, তৎকালীন ডিএমকে প্রধান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. করুণানিধিকে চেন্নাইয়ের ময়লাপুরে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সেই সময় করুণানিধির ভাগ্নে মুরাসোলি মারান অভিযোগ করেছিলেন যে করুণানিধিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
m Karunanidhi
এরপর মারান, যিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর দলের সহকর্মী টি. আর. বালুকে মামলায় হস্তক্ষেপ করায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন মারান। কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ঘটনা এটিই প্রথম বলে জানা গেছে। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Lalu Prasad Yadav
২৫ জুলাই, ১৯৯৭-এ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। পদত্যাগের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। লালু প্রসাদ যাদব চার মাস জেলে ছিলেন, তারপরে তিনি জামিন পান। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
shibu soren
জেএমএম প্রধান এবং হেমন্ত সোরেনের বাবা শিবু সোরেনকে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শিবু সোরেন মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন শিবুর ব্যক্তিগত সচিব শশী নাথ ঝাকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গ্রেফতারের আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পরে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেয়। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
shibu soren
২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্টও তাঁর খালাস বহাল রাখে। এই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল যে ডিএনএ নমুনা মেলেনি বলে মৃতদেহটি তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ছিল এমন কোনও প্রমাণ নেই। (পিসি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Hemant Soren cbi Lalu Prasad Yadav Arvind Kejriwal Jayalalithaa Karunanidhi ED