New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/lead-82.jpg)
মোদী-শাহ ও বঙ্গ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের ছবি।
By: Joyprakash Das সামনেই সেমিফাইনাল। তারপর বছর ঘুরলেই মেগা ফাইনাল। পুরভোট ও একুশে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রীতিমতো ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি বাহিনী। উনিশের নির্বাচনের সাফল্যের পর বাংলায় মাটির দখলের লড়াইয়ে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়াবাহিনী। আগামী দিনে বাংলায় পদ্মফুল ফোটাতে যে ৫ সৈনিকের কাঁধে ভর করে রয়েছে ৬, মুরলীধর সেন লেন, তাঁদের তালিকা দেখে নিন একনজরে... কৈলাশ বিজয়বর্গীয়- এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও বিজেপির উত্থান পর্বে তাঁকে বাংলায় দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সেই কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় কাটান এই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। যে কোনও ঘটনায় বিজেপি বিপাকে পড়লে তিনি ছুঁটে এসেছেন এ রাজ্যে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজির হয়ে যান কলকাতায়। একটাই লক্ষ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। কৈলাশ পর্যবেক্ষক হলেও বঙ্গ বিজেপির ঘরের লোক হয়ে গিয়েছেন। ২০১৯ সালে এ রাজ্যে বিজেপির সার্বিক দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ১৮ আসনে জয়ের পিছনে তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ভাল সম্পর্ক সুবিদিত। আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষক হিসাবে এ রাজ্যে তিনিই দায়িত্বে থাকছেন। বিজেপি সূত্রে এমনটাই খবর। মুকুল রায়- বিজেপির কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য ইনি। একসময় তিনিই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সারদা মামলায় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। এরপরই যোগ দেন পদ্মশিবিরে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায়ের ভূমিকা অস্বীকার করতে পারবে না দল। এখনও পর্যন্ত তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসমিতিরর সদস্য থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবু দাঁত কামড়ে পড়ে রয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূলের তৎকালীন দুই সাংসদ অনুপম হাজরা ও সৌমিত্র খাঁ-কে দল ভাঙিয়ে বিজেপিতে এনে তাক লাগিয়েছিলেন। একাধিকবার তৃণমূলকে নার্ভের চাপে রাখতে চেষ্টা করেছেন। প্রায় ১০৭ জন বিধায়কের নামের তালিকা তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছেন। কোচবিহারের নিশীথ অধিকারী, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ লোকসভায় জয় পেয়ে মুকুলের নাম রেখেছেন। তবে হেরেছেন অনুপম হাজরা। বিরোধী দলের নানা নেতৃত্বের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন মুকুল রায়। বাংলা রাজনীতিতে এ বিষয়ে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবার মুকুল রায় দলে বড় পদ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। দিলীপ ঘোষ- বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ। এ যাবৎ কালের মধ্যে বঙ্গ বিজেপির সব থেকে সফল নেতা তিনি, কান পাতলে একথা শোনা যায় দলের অন্দর মহলে। আরএসএস থেকে পদ্মশিবিরে আসার পরই খড়্গপুর থেকে বিধায়ক। এরপর মেদিনীপুর লোকসভা থেকে সাংসদ। টানা চার বছরের ওপর রাজ্য সভাপতি। এবার তিনবারের জন্য নির্বাচিত। অর্থাৎ ৭ বছর থাকবেন রাজ্য সভাপতি পদে। তাঁর নেতৃত্বেই এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে। আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই লড়াই করতে চলেছে পদ্মশিবির। ২০১৯ সালে একাধিকবার তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার পরক্ষণেই হুঙ্কার ছেড়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হলেও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন। এমন নেতা বাংলা রাজনীতি খুব কম দেখেছে। সায়ন্তন বসু- রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক যথেষ্ট বাকপটু। লোকসভা নির্বাচনের সময় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ দলের নানা কাজে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ান এই যুব নেতা। বঙ্গ বিজেপির আস্থাভাজন তিনি। যদিও বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন এই বিজেপি নেতা। তবে পরাজিত হয়ে ঘরবন্দি না হয়ে দ্বিগুণ দম নিয়ে দলের কাজে নেমে পড়েন সায়ন্তন। বিজেপিতে দিলীপের পর তিনিই অন্যতম প্রবক্তা। অনেক সময় বেলাগাম মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। লকেট চট্টোপাধ্যায়- রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। মাঠে-ময়দানে লড়াই করেছেন। নানা জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে দলীয় সাংগঠনিক কাজে একেবারে নাছোড়বান্দা। দল তাঁকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে। সেখান থেকে জয় পেয়ে তাক লাগিয়ে দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পদ্মশিবিরের মহিলা নেত্রী হিসাবে বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। ছবি: ফেসবুক।