দীর্ঘদিনের রোগভোগের পর সোমবার জীবনাবসান হল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
২০১২ সালে থেকে ২০১৭ সাল অবধি ভারতের ত্রয়োদশতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিপুণ হাতে সামলেছেন প্রশাসনিক দায়িত্ব।
১৯৬৯ সাল থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। মেদিনীপুরের উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী ভি কে কৃষ্ণ মেননের নির্বাচনী প্রার্থী ছিলেন তিনি।
ভারতে যখন জরুরী অবস্থা জারি ছিল সেই সময় ইন্দিরা গান্ধীর পাশে একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেই ছিলেন কীর্ণাহারের ভূমিপূত্র। দলে তিনি সবসময়ই 'সঙ্কটমোচক' হয়ে কাজ করে এসেছেন। ছবিতে রয়েছেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, নরসিমা রাও এবং আর ভেঙ্কটরমন
১৯৯৩ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি প্রণব মুখোপাধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রীর পদেও ছিলেন। বাণিজ্যিক উদারকরণ করার জন্য তিনি রাজনৈতিক মহলে নিজের কাজের ছাপ রেখে গিয়েছিলেন। ছবিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজীব গান্ধী
১৯৮৪ সালে কংগ্রেস সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বাজেট পেশও করেন।
২০১২ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। বীরভূমে অবশ্য তিনি 'পল্টু দা' বলেই খ্যাত ছিলেন। একসময় তিনি এও বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি পদে মনমোহন সিংকে হয়তো তাঁর জায়গায় পাঠান যেতে পারে। কিন্তু ভাগ্যের পরিকল্পনা অন্য কিছু ছিল।
তিনি কংগ্রেসের 'প্রবাদপ্রতিম নেতা'। পাঁচ দশক ধরে দলের একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সংসদে ছিলেন ৩৭ বছর। গৌরবোজ্জ্বল কাজে গত বছরই ভারতরত্ন পান প্রণব মুখোপাধ্যায়।
স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়, ১৯৭৯ সালে।
প্ল্যানিং কমিশন তৈরির সময় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়লতিতার সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়।
নয়াদিল্লিতে জনসাধারণের জন্য মুঘল উদ্যানের উদ্বোধনী দিনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।