New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/lead-73.jpg)
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের চিঁড়ে মন্তব্যের বিরোধিতায় এমন অভিনব প্রতিবাদেই শামিল হল তৃণমূলের মহিলা বাহিনী।
উইকেন্ডের বিকেলে কলকাতার রাজপথে পা মুড়ে বসে চিঁড়ে খেলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। তাঁদের সঙ্গে বসে চিঁড়ে খেলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ও বিধায়ক স্মিতা বক্সীও। আর কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের চিঁড়ে মন্তব্যের বিরোধিতায় এমন অভিনব প্রতিবাদেই শামিল হল তৃণমূলের মহিলা বাহিনী। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে নিশানা করে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সবাই চিঁড়ে খাচ্ছি। কৈলাশবাবু, যিনি কৈলাশে থাকেন, তাঁর মত অনুযায়ী আমরা তাহলে সকলেই বাংলাদেশি, এতে আমাদের আপত্তি নেই। চিঁড়ে খুবই উপাদেয় খাবার। দধিকর্মা খাই আমরা’’। মালা রায়- সব ধরনের মানুষ চিঁড়ে খান। চিঁড়ে শুভ জিনিস। পাগলের প্রলাপ বকছে সব, চিঁড়ে তো সাধারণ মানুষই খান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মোদীদের কোনও যোগাযোগ নেই। শশী পাঁজা- চিঁড়ে দিয়ে দধিকর্মা হয়, পুজোয় লাগে। চিঁড়ে পেট ঠান্ডা রাখে। বাংলা-সহ দেশের মানুষ খান। চিঁড়ে মুখে নিয়ে কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেল, ‘বাংলাদেশি খাবার খাচ্ছি’। ধর্মতলায় রাস্তার উপর বসে চিঁড়ে খেলেন ও খাওয়ালেন চন্দ্রিমা-মালা-শশীরা। চিঁড়ে খাওয়ার পাশাপাশি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডকে। এদিন দধিকর্মা পরিবেশন করতে দেখা গেল মন্ত্রী শশী পাঁজাকে। সিএএ বিরোধিতায় তৃণমূলের ধর্নামঞ্চের কাছেই এদিন চিঁড়ের আসর বসায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠন। বাড়ির রাজমিস্ত্রিরা চিঁড়ে খাচ্ছিলেন, আর তা দেখেই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সন্দেহ হয় যে, তাঁরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। কৈলাশের এহেন মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।