New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/08/mamata-banner.jpg)
অন্য ভূমিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমলকে বিপুল সমর্থন জানিয়েছে আদিবাসীরা। তারপর এই প্রথমবার ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেখানে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের সূচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী 'পাঞ্চি' শাড়ি পরিয়ে স্বাগত জানায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেই শাড়ি পরেই আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ধামসা মাদলের তালে তালে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে পা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে না উঠে, প্রথমে আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ওঠেন তিনি। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তাঁদের সঙ্গে মিশে যান মমতা। আদিবাসী গান মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর হাতে তুলে নেন ধামসার কাঠি। নিজেই বাজান ধামসা। ধামসার পর ঝুমুর হাতে নেন মুখ্যমন্ত্রী। দিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের সম্প্রদায়ের কৃতী মানুষের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, জয় জোহর প্রকল্পের আওতায় ১৯ জনের হাতে সংশাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কৃতী ১৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিভিন্ন কাজে নজির গড়ার জন্য জেলার ১৭ জনকে সংবর্ধনা দেন তিনি। এদিন সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে মমতার দাবি, "আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। আমাদের সরকার সেই আইন চালু করেছে। সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকারে এই আইন চালু করা উচিত। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করা হয়েছে।" একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বলেন, "আমরা ধর্মে-ধর্মে, মানুষে-মানুষে ভাগ করি না। সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনারা ভাল থাকলে, আমি ভাল থাকবো। আপনাদের কখনও কিছু অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন, আমি দেখে নেবো। কিন্তু আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আপনারা আমাদের অনেক আশীর্বাদ দিয়েছেন।"