তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেল বাদে সব শাখা সংগঠনই ভালো কাজ করছে বলে সোমবার নজরুলমঞ্চের কর্মীসভায় জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংস্কৃতি সেলকে আরও সচল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সাংস্কৃতিক সেলের এই হালের জন্য সরাসরি ভরা সভায় এ দিন মন্ত্রী ইন্ত্রনীল সেনকে দায়ী করেছেন মমতা। ভরা সভায় রীতিমত ধমকেছেন ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ইন্দ্রলকে।মমতার নির্দেশ, 'তুমি, রাজ আর বাবুল বসবে এটা নিয়ে। যে শিল্পীরা সময় দিতে চায় তাদের জন্য ভাবো।' তখন ইন্দ্রনীল বলেন, 'এই দায়িত্ব রাজ চক্রবর্তীর'। পাল্টা মমতা বলেছেন, 'রাজকে দায়িত্ব দেওয়া আছে বলে কি তুমি কোনও দায়িত্ব নেবে না? শুধু গান করবে? সেটা চলবে না। সবাই মিলে কাজ করো। সাংস্কৃতিক পরিবার তৈরি করো।'এ দিন 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচির সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ দলকে সব সাংসদ, বিধায়কদের সময় দিতে হবে। তবে, বেশ কয়েকজন তারকা সাংসদ, বিধায়ককে দলীয় কাজ করার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূলনেত্রীর ছাড়ের তালিকায় রয়েছেন দলের চার লোকসভা সাংসদ, নুসরত, মিমি চক্রবর্তী, দেব এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। নজরুলমঞ্চে মমতা বলেন, 'নুসরত টাইম দেয়নি। ওরা একটু ফিল্ম-টিল্ম করে, দেব, নুসরত, মিমি ওদের একটু রিলাক্সেশন দিবি।' আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে ইলেকশনে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন নেত্রী।হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি এখন জাতীয় স্তরে ক্রিকেট খেলেন। তাই সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি থেকে তাঁকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।ছাড়ের তালিকায় পড়েছেন অভিনেতা তথা বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীও। ‘যতটা পারবে সময় দেবে’ বলে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।শারীরিক অসুস্থতার কারণে 'দিদির রক্ষাকবচ' কর্মসূচিতে সময় দেওয়া থেকে রেহাই পেয়েছেন মথুরাপুরের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া।