বাংলায় ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনও মাসিক বেতন নেননি তিনি। এহেন মুখ্যমন্ত্রীর আয়-ব্যয়, সম্পত্তির হিসাবে জানতে উৎসুক মানুষ। নন্দীগ্রামে হেভিওয়েট কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর নিজের কোনও গাড়ি-বাড়ি, এমনকি স্থাবর সম্পত্তি পর্যন্ত নেই। এক্সপ্রেস ফটো
প্রার্থী হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ, বিভিন্ন সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট মিলিয়ে ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৫২ টাকা। রয়েছে ৯ গ্রামের মতো কিছু সোনার গয়না। এক্সপ্রেস ফটো
হলফনামায় আরও জানিয়েছেন, কোনও নিজস্ব বাড়ি-গাড়ি, চাষের জমি কিছুই নেই তাঁর। কোনও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জমিও নেই। পৈতৃক সম্পত্তি নেই। ব্যাঙ্কে কোনও অনাদায়ী ঋণও নেই তাঁর নামে। এক্সপ্রেস ফটো
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে নগদ ৬৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা, যোগেশচন্দ্র চৌধুরি ল কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। এক্সপ্রেস ফটো
মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট কী করবেন তা পরের ব্যাপার হলেও সম্পত্তির পরিমাণে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬২ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৪২ টাকা ৩৫ পয়সা। গত পাঁচ বছরে শুভেন্দুর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪০৬ টাকা ৯৭ পয়সা। এক্সপ্রেস ফটো
হলফনামায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪৭ টাকা ৩২ পয়সা। এই মুহূর্তে তাঁর কাছে নগদ পাঁচ হাজার টাকা রয়েছে। নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট-সহ মোট ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
শুভেন্দুর মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। তবে তাঁর নিজস্ব কোনও গাড়ি বা সোনা নেই। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে শুভেন্দু আয় করেছেন ১১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে শুভেন্দুর স্থাবর সম্পত্তি ছিল (জমি, বাড়ি এবং অন্যান্য) ছিল ৪৪ লক্ষ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি ২০১১ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছেন। এক্সপ্রেস ফটো