-
মহেন্দ্র সিং ধোনি- দুবারের বিশ্বজয়ী ভারতীয় ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১১ সালে ভারতীয় সেনায় সাম্মানিক লিউটেন্যান্ট কর্নেল পদ পান। সেনার সঙ্গে ট্রেনিংও নিয়েচেন তিনি। প্রশিক্ষিত প্যারাট্রুপার ধোনি টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের সঙ্গে থেকে প্রশিক্ষণ নেন। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মবিভূষণ সম্মান পাওয়া ধোনির মুকুটে সেনার শীর্ষ পদ একটা দামি পালক বলা যায়।
-
শচীন তেণ্ডুলকর- তাঁর জন্য কোনও উপমার প্রয়োজন নেই আলাদা করে। তিন দশকের কেরিয়ারে ভারতকে বহু গর্ব উপহার দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কেরিয়ারে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রিকেট ঈশ্বর ২০১০ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে যোগ দেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যাঁর এভিয়েশন অভিজ্ঞতা না থাকলেও বায়ুসেনার এই সাম্মানিক পদ পান।
-
অভিনব বিন্দ্রা- বেজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী সোনার ছেলে অভিনব বিন্দ্রা। প্রথম ভারতীয় যিনি ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণপদক জেতেন অলিম্পিকে। টেরিটোরিয়াল আর্মির লিউটেন্যান্ট কর্নেল পদে তাঁকে ভূষিত করে ভারতীয় সেনা। ক্রীড়াজগতে তাঁর অসামান্য দক্ষতার জন্য এই সম্মান দেয় সেনা। রাজীব গান্ধি খেলরত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার জয়ী শুটারকে ধোনির সঙ্গেই এই সাম্মানিক পদ দেয় ভারতীয় সেনা।
-
কপিল দেব- হরিয়ানা হ্যারিকেন নামে পরিচিত ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন কপিল দেব। প্রাক্তন ভারতীয় ক্যাপ্টেনকে ২০০৮ সালে ভারতীয় সেনা টেরিটোরিয়াল আর্মিতে লিউটেন্যান্ট কর্নেল পদে সম্মানিত করে।
-
মিলখা সিং- উড়ন্ত শিখ নাম পেয়েছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে। ১৯৫৮ সালে কমলওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী, চারবার এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী মিলখা ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে বিশ্বরেকর্ড করেও পদক হাতছাড়া করেন। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান তিনি। তবে খেলাধুলার জগতে আসার আগে তিনি ১৯৫১ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দেন মিলখা। এশিয়ান গেমসে অসামান্য পারফরম্যান্সের পর সিপাই থেকে জেসিও পদে পদোন্নতি হয় তাঁর।
-
রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর- বিন্দ্রার সোনা জেতার আগে ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে শুটিংয়ে রুপো জেতেন রাজ্যবর্ধন। শুটিংয়ে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ব্যক্তিগত বিভাগে পদক জেতেন রাজ্যবর্ধন। কিন্তু খেলাধুলো ছাড়াও তিনি ভারতীয় সেনার নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯০ সালে নাইনথ গ্রেনেডিয়ার রেজিমেন্টে যোগ দেন রাজ্যবর্ধন। ১৯৯২ সালে লিউটেন্যান্ট পদে উন্নতি হয় তাঁর। ২০০০ সালে মেজর হন তিনি, এর পর ২০০৯ সালে কর্নেল পদে উন্নতি হয়। রাজ্যবর্ধন সেই বছর কার্গিল যুদ্ধেও দেশের জন্য লড়াই করেন।
