/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/xNnZ77nwqBLd2YVDTA3F.jpg)
EB vs ARK: ইস্টবেঙ্গল বনাম আর্কাদাগের ম্যাচ। (ছবি- পার্থ পাল)
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/rPy9q81ib8GwW5WIW2Jg.jpg)
দলের জয় দেখতে বহু সমর্থকই আশা নিয়ে এসেছিলেন
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুঁজো জানিয়েছিলেন, তিনি এএফসি কাপকে পাখির চোখ করছেন। অস্কারের সেই গালভরা কথায় বিশ্বাস করে দলে দলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বুধবার যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা বারবার আর্কাদাগের রক্ষণের কাছে হার মেনেছেন। যার ফলে, ঘরের মাঠেই লজ্জায় পড়তে হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরকে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/NaQjkH9ufU0Rro3P9s6D.jpg)
আগের তিনটে ম্যাচে অপরাজিত ছিল
এই ম্যাচটায় খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পরপর তিনটে ম্যাচে অপরাজিত ছিল। গত ২৬ অক্টোবর ভুটানের পারো এফসির বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। তারপর ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয় পেয়েছিল। এর পর ১ নভেম্বর ঘরের মাঠে নেজমেহ এফসি-কে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, যুবভারতীতে দেখা গেল লাল-হলুদ শিবিরের ছন্নছাড়া ফুটবল। যার ফলে, ম্যাচ হেরে বিদায় নিতে হল লাল-হলুদ বাহিনীকে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/nNNKfpJ60BwB7Iparqcs.jpg)
ম্যাচে একমাত্র গোল
এই ম্যাচে ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল করে দিয়েছিল আর্কাদাগ। কিন্তু, তারপর আর তারা কোনও গোল করতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গলও আর গোটা ম্যাচে সেই গোল শোধ করে উঠতে পারেনি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/cqrjB0M2kPet8EIcPB0H.jpg)
মেসি বাউলিকে ফাউল
ম্যাচের ৮৮ মিনিটের মাথায় মেসি বাউলি বল নিয়ে ওঠার সময় আর্কাদাগের প্লেয়ার তাঁকে ফাউল করেন। বাউলি পরে যান। যা নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝামেলাও হয়। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। তবে, তাতে আর্কাদাগের খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখানো ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের কোনও লাভ হয়নি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/xXHe335LEk1j50BGv876.jpg)
ভালো ক্রস নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল
এর কিছুক্ষণ আগে একটি ভালো ক্রস নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্ত, আর্কাদাগের গোলরক্ষক চারিয়েভ সময়মতো বেরিয়ে আসেন। তিনি বলটিকে বিপদমুক্ত করেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/PnrpRhLU4AvsO9ovZ2FR.jpg)
বড় মিস ইস্টবেঙ্গলের
ম্যাচের ৭১ মিনিটে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বল ধরে ক্রেসপো উঠতে শুরু করেছিলেন। তিনি গোল লক্ষ্য করে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু, আর্কাদাগের এক ডিফেন্ডার বলটি বাঁচিয়ে দেন। এরপর ফিরতি বলে ফের গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। কিন্তু, সেবারও তিনি গোল করতে পারেননি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/6BOEoXHjLgSurGnvRA86.jpg)
ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ
ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় বাল্লাকভ মাঠে নেমে সেলিসকে মাটিতে টেনে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু, রেফারি কোনও কার্ড দেখাননি। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখান লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/6LD03YPVyEuP8xLVumNc.jpg)
ইস্টবেঙ্গল আরও গোল খেত
ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে একটি ভাসানো বল পেয়েছিলেন আর্কাদাগের অধিনায়ক বাশিমভ। তিনি আবার বক্সের ভিতরে এক খেলোয়াড়কে ওই বল পাস হিসেবে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। এক খেলোয়াড় সেই বল পেয়ে গোলের দিকে মারেন। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার গিল পরাস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, বলটা ক্রসবারে গিয়ে লাগায় ইস্টবেঙ্গল বেঁচে যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/Y3kLHQyWWFtsDvAriC7B.jpg)
হলুদকার্ড দেখেছেন ইস্টবেঙ্গলের হেক্টর ইউস্তে
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আর্কাদাগের স্কোরার গুরবানভকে আটকাতে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেক্টর ইউস্তে। কিন্তু, তিনি ট্যাকেল করতে গিয়ে তিনি ফাউল করে। চোট পেয়ে গুরবানভ মাঠে পড়ে যান। এরপর, ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/fmr0VfBKsgTYZilEs9jA.jpg)
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যান্ডবলের অভিযোগ ওঠে
ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় হ্যান্ডবলের অভিযোগ ওঠে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। আর্কাদাগের খেলোয়াড় শট নিতে গেলে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষকের হাত তা স্পর্শ করে বলে অভিযোগ। রেফারি অবশ্য ব্যাপারটাকে অতটা গুরুত্ব দেননি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/bnTiTiqzjLXrvG3WIqNd.jpg)
চেষ্টা যে একেবারেই হয়নি, তা না
রাকিপ ও সেলিস, নিজেদের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান পাসের মাধ্যমে ভালো চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বক্সের ভিতরে গিয়ে তাঁরা খেই হারিয়ে ফেলেন। ফলে কোনও গোল হয়নি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/0PrCQtJT1MAMVVx4C6XJ.jpg)
গিলের ভালো সেভ
আর্কাদাগের গুরবানভ হেডে একটি গোল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গলের প্রভসুখন গিল বলটি ভালো ভাবে সেভ করে দেন। তিনি বাঁচানোয় বিরতির ঠিক আগে বড় অঘটন থেকে বেঁচে যায় লাল-হলুদ শিবির।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/kVIHXZvV03FVktCylEnd.jpg)
সুযোগ নষ্ট আর্কাদাগের
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গুরবানভ একটি বাঁকানো ক্রস বাড়িয়েছিলেন আকমামেদভকে। কিন্তু, আকমামেদভ বাঁ-পা বাড়িয়ে গোলের চেষ্টা করলেও বল নেটের পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।