/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/X7UyejI2B6G96LSfQTSX.jpg)
২০২৫ আইপিএল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/shubman-gill-902489.jpg)
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা
চলতি আইপিএল মরশুমে গুজরাট টাইটান্সের সাফল্য়ের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে দলের ওপেনিং পার্টনারশিপের। শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন জুটি অধিকাংশ ম্য়াচই জিতিয়েছে গুজরাটকে। কিন্তু, এলিমিনেটর ম্য়াচের চাপটা শুভমান গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। জস বাটলারের বিকল্প হিসেবে খেলতে আসা কুশল মেন্ডিসও মাত্র ২০ রান করতে পারেন। সুদর্শন একা ৮০ রান করলেও, চপ অর্ডারের বাকি সতীর্থদের থেকে তিনি একেবারে সাহায্য পাননি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/YvCsUcj5Lqyo52yLikJD.jpg)
ডেথ ওভারে জঘন্য বোলিং
এই ম্য়াচে গুজরাট টাইটান্সের বোলাররা ডেথ ওভারে একেবারে জঘন্য পারফরম্য়ান্স করেন। কোনও টি-২০ ম্য়াচে শেষ ৪-৫ ওভার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়। সেখানে গুজরাটের বোলার জেরাল্ড কোয়েৎজি শেষ ওভারেই ২২ রান দিয়ে ফেলেন। অনেকে মনে করছেন, এই ওভারটাই ম্য়াচের নির্ণায়ক হয়ে গিয়েছে। জেরাল্ডের বলে ভরপুর ফায়দা তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/rashid-khan-558925.jpg)
রশিদকে খেলানোর ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গুজরাটের তারকা অলরাউন্ডার রশিদ খান ৪ ওভারে ৩১ রান দিলেও উইকেট শিকার করতে পারেননি। এটা শুভমান ব্রিগেডের কাছে একটা বড় ধাক্কা। একটি ম্য়াচের পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত অনেকেই বলবেন যে খুব বড় ব্যাপার হয়ত নয়। কিন্তু, এবারের আইপিএল টুর্নামেন্টে রশিদ একেবারেই ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেননি। শেষ ৫ ম্য়াচে রশিদের পরিসংখ্যান দেখলেই তা বুঝতে পারা যাবে। মুম্বই, লখনউ এবং দিল্লির বিরুদ্ধে তিনি যথাক্রমে ৩১,৩৬ এবং ৩২ রান দিলেও কোনও উইকেট শিকার করতে পারেননি। লিগ পর্বে চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রত্যেকটা ম্য়াচ খেলানোর পিছনে যে কোন যুক্তি ছিল, তা এখনও অজানা।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/rohit-sharna-259500.jpg)
চাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাব
২০২৫ আইপিএল টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে গুজরাট টাইটান্স সাফল্য অর্জন করলেও, এই দলের একাধিক ক্রিকেটার চাপের মুখে নতিস্বীকার করেছিলেন। পাশাপাশি প্লে-অফে মুম্বই যে কতখানি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, এটা কারোর কাছেই অজানা ছিল না। আর এলিমিনেটর ম্য়াচে এটাই ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন রোহিত শর্মা। বল হাতে যে ইয়র্কার ডেলিভারিতে জসপ্রীত বুমরাহ ক্লিন বোল্ড করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর, সেটা যে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ডেলিভারি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবমিলিয়ে মুম্বই এই ম্য়াচে যে কমপ্লিট পারফরম্য়ান্স করেছে, তেমনটা গুজরাট করতে পারেনি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/31/devk50Y2bYUc7q1QQ0Y3.jpg)
এলিমিনেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে একাধিক ক্যাচ মিস
এলিমিনেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে পাওয়ার প্লে চলাকালীনই গুজরাট টাইটান্স তিনটে ক্যাচ মিস করে। আর কথাতেই তো রয়েছে, কোনও ক্রিকেট ম্য়াচে ক্যাচ ফসকালে, ম্যাচও হাতের বাইরে চলে যায়। রোহিত শর্মার ৮১ রান এবং জনি বেয়ারস্টোর ৪৭ রানের দৌলতে মুম্বই ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে। যদিও গুজরাট ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানেই আটকে যায়।