-
আইপিএল নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। একদিকে এখনও গোটা বিশ্ব করোনা মোকাবিলায় সামাল দিতে পারেনি। অন্যদিকে, বিপুল আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে আইপিএল আয়োজনে বদ্ধপরিকর বিসিসিআই। আইপিএল আয়োজন করতে না পারলে কার্যত ধসে যাবে ক্রিকেট অর্থনীতি।
-
বিদেশের একাধিক ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটের অর্থনীতি ঠিক রাখার জন্য আইপিএল আয়োজনের কথা বলেছেন। তবে ভারতে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
-
মার্চ মাসে আইপিএল চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা দুদফায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে অতিমারীর ধাক্কায়। আইপিএলের উইন্ডো আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
-
সেই কারণেই, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব। এখনো টি২০ বিশ্বকাপ সরকারিভাবে বাতিল করেনি আইসিসি। তবে টি২০ বিশ্বকাপ যে বাতিল হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। অস্ট্রেলিয়াও টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে নিমরাজি।
-
সরকারিভাবে আইপিএল বাতিল ঘোষণা করলেই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের উইন্ডোতে আইপিএল খেলতে রাজি বিসিসিআই।
-
কিন্তু কোথায় হবে আইপিএল? এই প্রশ্নই আপাতত জবাব খুঁজছে বোর্ড। বোর্ডের অনেক কর্তা দেশেই করোনা পরিস্থিতি যেখানে নিয়ন্ত্রণে সেখানে একটি শহরে আইপিএল খেলতে বলছেন।
-
অনেকেরই পছন্দের মুম্বই। কারণ সেখানে চারটে ফ্লাডলাইট স্টেডিয়াম রয়েছে- ওয়াংখেড়ে, ব্রেবোর্ন, ডি ওয়াই পাতিল এবং রিলায়েন্স। সেখানেই বায়ো-নিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করার কথা বলেছেন কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইশোর।
-
তবে দেশে এই মুহূর্তে করোনা-পরিস্থিতি বিপজ্জনক। প্রতিদিন ২০ হাজারের কাছাকাছি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই টুর্নামেন্টের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেবেন কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়।
-
দেশে আইপিএল আয়োজন না করা হলে ভারতের সামনে থাকছে দুটো অপশন। এক, পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা এবং দুই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
-
দুই দেশই আইপিএল আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আগেই। বিসিসিআই এখনো সরাসরি কাউকেই সিদ্ধান্ত জানায়নি।
-
তবে যেখানেই খেলা হোক না কেন, বিশাল বন্দোবস্ত করতে হবে বিসিসিআইকে। কারণ প্রতিটি অংশগ্রহনকারী ক্রিকেটারদের আগে এনে মেডিকেল চেক আপ করে ১৪ দিন আইসলেশনে কাটানোর পরে বায়ো-নিরাপদ পরিস্থিতিতে খেলতে হবে।
-
এত ঝক্কি সামলে কী বোর্ড আয়োজন করতে পারবে ক্রোড়পতি লিগ, সেটাই এখন দেখার।
