কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ধোনি। ছয় মাস জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি। তাই বোর্ডের পক্ষ থেকে সরাসরি বাতিল করা হয়েছে ধোনির সঙ্গে চুক্তি।
বাদ পড়ায় বার্ষিক ৭ কোটি টাকা উপার্জন হারালেন তিনি। তবে এতে ধোনির আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই-ই।
২০১৯ সালে ফোর্বস ইন্ডিয়া সেলিব্রিটি তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেখানে পাঁচ নম্বর স্থান ধরে রেখেছিলেন।
ঘটনা হল, কোনও টেস্ট না খেললেও ধোনির উপার্জন বেড়েছে। ২০১৮ সালে ধোনির সম্পত্তির পরিমাপ ছিল ১০১.৭৭ কোটি টাকা। একবছর পরে সেই সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫.৯৩ টাকা।
কীভাবে ধোনির সম্পত্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে? ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি ধোনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। নিজের ব্র্যান্ড কাজে লাগিয়ে ধোনি একাধিক ব্যবসা চালু করেছেন। বিনিয়োগ করেছেন একাধিক ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, এনডোর্সমেন্ট তো রয়েইছে।
সেভেন- ধোনির স্পোর্টস গারমেন্ট সংস্থা। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়েছিল এই ব্র্যান্ড। প্রথমে ধোনিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে ধোনি গোটা সংস্থাটিই কিনে নেন। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার পাশাপাশি মালিকও তিনি।
স্পোর্টসফিট- সকলেই জানি, ধোনি ফিট থাকার জন্য কী নিরন্তর চর্চা করে যান। জিমের সঙ্গে ধোনির সখ্যতা বহুদিনের। জিম সংস্থাতেও ধোনি বিনিয়োগ করেছিলেন। গোটা দেশের ধোনির জিম সংস্থা স্পোর্টস ফিট-এর ২০০টিরও বেশি আউটলেট রয়েছে। কোম্পানির নাম স্পোর্টসফিট ওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড
চেন্নাইয়িন এফসি- বিরাট কোহলি যেমন এফসি গোয়ার অংশীদার, ধোনিও তেমন আইএসএলের চেন্নাইয়িন এফসির সহ-মালিক। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও বেশ পছন্দ করেন। আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বিনিয়োগ করে সেটাই বুঝিয়েছেন তিনি।
মাহি রেসিং টিম ইন্ডিয়া- বাইক-প্রীতির কথা কারোর অজানা নয়। তারকার বাইকের সংগ্রহ দেখলে চমকে উঠতে হয়। আরও ইন্টারেস্টিং ঘটনা হল, সুপারস্পোর্টস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ধোনির নিজস্ব রেসিং টিমই রয়েছে। বিখ্যাত অভিনেতা নাগার্জুনের সঙ্গে এই দলের মালিক ধোনি।
হকি টিম- ক্রিকেট, ফুটবল, রেসিং কারের পাশাপাশি হকিতেও ধোনির বিনিয়োগ করেছে। রাঁচির হকির দল রাঁচি রেইজ-এর মালিক তিনি।
মাহি হোটেল- অনেকেই ধোনির হোটেল ব্যবসা সম্পর্কে অবহিত নন। ধোনির নিজস্ব হোটেল রয়েছে। নাম হোটেল মাহি রেসিডেন্সি। গোটা দেশে একমাত্র ঝাড়খণ্ডেই এই হোটেল রয়েছে। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিও নেই।
এনডোর্সমেন্ট- একাধিক পণ্য সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তিনি- পেপসি, স্টার, গো ড্যাডি, বোস, স্নিকার্স, ভিডিওকন, বুস্ট, ওরিয়েন্ট ইলেকট্রিক, নেটমেডস এবং আরও অনেক। বিজ্ঞাপণী প্রচারে নিয়মিত অংশ নেন তিনি। এখান থেকে ধোনির উপার্জন বেশ মোটা!
একাধিক ব্যবসা এবং অসংখ্য এনডোর্সমেন্ট দুনিয়ায় প্রধান মুখ হওয়ায় ধোনি যে আর্থিক ক্ষতি কার্যত হবে না, তা বলাই বাহুল্য।