
আইপিএল ইতিহাসের সবথেকে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চারবার কাপ জিতেছে রোহিত শর্মার দল। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে নজির গড়েছে সাগরপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি।

মুম্বই এবার ১৩তম আইপিএলের সংস্করণে পঞ্চমবারের মতো কাপ জেতার লক্ষ্যে নামবে। যদিও সেই কাজ মোটেও সহজ নয়।

এবারের টুর্নামেন্ট প্রতিটি দলের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হচ্ছে। আড়াই মাস ধরে চলা আইপিএলে ক্রিকেটারদের গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পুরোপুরি ফিট রাখা প্রতিটি দলের কাছেই চ্যালেঞ্জ।

প্রথম একাদশের নিয়মিত ক্রিকেটাররা চোট পেলে রিজার্ভ ক্রিকেটারদের তৈরি থাকতে হবে। রিজার্ভ ক্রিকেটারদের ভূমিকা প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই তাই অপরিসীম।

তবে মুম্বইতে এই সংস্করণে ব্যাক-আপ ক্রিকেটারদের মান যথোপযুক্ত নয়, এমনটাই বক্তব্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।

কোনও সন্দেহ নেই মুম্বইয়ের প্রথম একাদশের ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত। তবে প্রথম একাদশের কোনও ক্রিকেটারের চোট লাগলে পরিবর্ত ক্রিকেটার বাছাই নিয়ে হিমশিম খেতে পারে নীতা আম্বানীর দল।

বলা হচ্ছে, ব্যাক-আপ ক্রিকেটারদের অভাবে এবার মুম্বই বেশিদূর যেতে পারবে না। শেষ চারে পৌঁছনো নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে ক্রিকেটমহল।

পাশাপাশি বোলিং ডিপার্টমেন্টেও সমস্যা রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পেস আক্রমণের উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল। তবে স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টে কিছুটা হলেও ঘাটতি রয়েছে।

রাহুল চাহার ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়া বাদে স্কোয়াডে কোনও স্পিনার নেই মুম্বইয়ের। ভারতীয় কন্ডিশনে স্পিনার সমস্যায় ভুগবে মুম্বই।

অভিজ্ঞ স্পিনারদের অভাব মুম্বই প্রতি মুহূর্তেই অনুভব করবে।

পাশাপাশি মুম্বইয়ের সিনিয়র স্কোয়াডের বেশ কিছু তারকা চোট আঘাত সমস্যায় রয়েছেন।

জসপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া এখনও চোট সারিয়ে পুরোপুরি ফিটনেস রপ্ত করতে পারেননি।

সেই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, লাসিথ মালিঙ্গা, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ও কায়রন পোলার্ড- তিন তারকা গত একবছর ধরেই ফর্মে নেই।

পোলার্ড যদি বোলিংয়ে সহায়তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মুম্বই টুর্নামেন্টের মাঝপথেই অথৈ জলে পড়বে।

যদিও এত সমস্যা থাকলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবারেও সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে।