-
বছর সত্তরের কাছাকাছি হলেও হবে ভাবে এখনও যুবক। তাঁর কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর মানুষটা। রাতের পর রাত জেগে ফুটবল দেখেন এখনও। ক্লাব বলতে বোঝেন রিয়াল মাদ্রিদ, দেশ মানে ব্রাজিল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
৫০-৫৫ বছর ধরে ঘুড়ি তৈরি করছেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই নিজের দোকানের সব ঘুড়িগুলোকে সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন দেশের পতাকায়। ক্রিকেট হোক বা ফুটবল বিশ্বকাপ সবার আগে ঘুড়ি নিয়ে তৈরি থাকেন এই বৃদ্ধ। অজিতবাবু বলেন, “এ সব ঘুড়ি বিক্রির জন্য নয়। পাঁচটা মানুষ দোকানে এসে এগুলো দেখবেন, এটাই আমার ভাললাগা। কতটা বিক্রি হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে! খেলা ভালবাসি তাই এভাবেই নিজের ভাললাগাটা তুলে ধরি। আগে ঘুড়ির চাহিদা ছিল এখন নেই এখন ছেলেরা সব ফোন নিয়েই খেলতে ব্যস্ত থাকে” বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, জার্মানির মত দেশের পতাকা-বাহী ঘুড়িই রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। এই বছর ২০টি দেশের পতাকা দেওয়া ঘুড়ি তৈরি করেছেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছের এই ঘুড়ি নির্মাতা বিশ্বকাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। আহমেদাবাদের আন্তর্জাতিক ঘুড়ি ফেস্টিভ্যালেও নয়ের দশকে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তাঁর বানানো চার্লি চ্যাপলিন ঘুড়িও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। বাংলার অভিনেতা রবি ঘোষ থেকে মুম্বইয়ের জনি ওয়াকার এবং আসরানিও তারিফ করেছেন তাঁর কাজের। তাঁদের হাত থেকেই বেশ কিছু পুরস্কারও নিয়েছেন তিনি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
এবং শুধু ঘুড়ির উৎসবে সামিল হওয়াই নয়, নিজের উদ্যেগেই কলকাতার ময়দান প্যারেড গ্রাউন্ডে আটের দশকে ডায়মন্ড কাপ, গোল্ড কাপ এবং নক-আউট লিগ কাপের মতো ঘুড়ির প্রতিযোগিতা আয়োজন করতেন তিনি। রথিন পালের লেখা ‘ঘুড়ির কথা’ বইতেও জ্বলজ্বল করছে অজিতবাবুর ইতিহাস। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
বর্তমানে শরীর অনেক ভেঙে পড়েছে। চোখের দৃষ্টিও কমজোর হয়েছে। তবুও এখনো হাতে তালি মেরে বলেন, “চোখটা গড়বড় না করলে বিশ্বকাপের সময় হাতে প্রিয়দলের ঘুড়ি নিয়ে পায়ে ১০০বার ফুটবল নাচিয়ে দেখিয়ে দিতাম!আমার মতন মানসিক জোর কারও নেই। এখনকার প্রজন্মের সবাই তো ফোনের নেশায় ডুবে আছে।” এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
