
চোকার্স। বাইশ গজে বহুল প্রচলিত এক শব্দ। দক্ষিণ আফ্রিকা এই ট্যাগ থেকে এখনও বেরোতে পারেনি। এর মধ্য়েই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে ঢুকে পড়েছে নিউজিল্যান্ড
বড় টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে হেরে যাওয়া তো ছিল-ই, তবে কিউয়ি ক্রিকেটের নতুন ট্রেন্ড সুপার ওভারে খেলা গড়ালেই শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতিতে হেরে বসা।
গত বছর ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভার থেকে কিউয়িদের দুর্দশা শুরু। কোহলিদের বিরুদ্ধে পরপর দু-ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে সেই ট্র্যাডিশনই বজায় রেখেছেন ব্ল্যাক ক্যাপস ক্রিকেটাররা।
প্রথম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসন এবং দ্বিতীয় ম্যাচে কলিন মুনরো নিউজিল্যান্ডকে যে অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ম্যাচ জেতাটা স্বাভাবিক। হেরে যাওয়াটাই অপরাধ-তুল্য।
তবে দুই তারকা পরপর দু-ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে যাওয়ায় চাপ নিতে পারেনি বাকি ব্যাটসম্যানরা। অনভিজ্ঞতা এবং প্রতিপক্ষকে অতিরিক্ত সমীহ করার মানসিকতা থেকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
পাশাপাশি, টিম সাউদি ফ্যাক্টরও দায়ী- পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত চারটে ম্যাচে টিম সাউদি সুপার ওভারে দলকে ডুবিয়েছেন। বারেবারে সাউদিতে আস্থা রাখা কিউয়ি টিম ম্যানেজমেন্টের মস্ত ভুল।
অনভিজ্ঞতা! কিউয়ি ক্রিকেটাররা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বরাবরই ভয়ঙ্কর। যেকোনও হেভিওয়েট দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে নিউজিল্যান্ড। তবে বর্তমানে নিউজিল্যান্ড নিজেই ক্রিকেটের এক সুপার পাওয়ার। তা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ড চাপের পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখার কৌশল এখনও রপ্ত করতে পারেনি।
ডেথ ওভারের বোলারের অভাব! পেস আক্রমণে নিউজিল্য়ান্ড বরাবরই ভাল। পেসারের ছড়াছড়ি থাকলেও ডেথ ওভারে কিউয়িদের আক্রমণে আগুনে পেসারের অভাব রয়েছে। নিউজিল্য়ান্ডের এই মুহূর্তে সেরা ডেথ বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি চোটের কারণে বাইরে।
হ্যামিল্টনে সুপার ওভারে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হারার পরে মুখ খুলেছিলেন নেতা কেন উইলিয়ামসন।
তিনি বলেছিলেন, "সুপার ওভারে আমরা ভাল খেলতে পারি না। তাই নিয়মিত ওভারেই আরও ভাল খেলতে হবে আমাদের। আমরা ভাল খেলেছি। ভারতের ব্যাটিংয়ের সময়ে বল হাতেও আমরা ভাল লড়াই করেছি। তবে খেলার ফলাফলে আমরা হতাশ। সামান্য ব্যবধানে আমাদের হারতে হয়েছে।"