-
এটা কোনও গল্প নয়, বরং ঘোর বাস্তব। আর এ জন্যই বোধ হয় বলে, 'ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন'। যা হোক এবার ঘটনায় আসা যাক। ছেলে-মেয়েদের বিয়ের দিন পাকা করতে যেদিন দুই পরিবার সাক্ষাৎ করল ঘটনার সূত্রপাত তখনই। পাত্রের মা এবং পাত্রীর বাবা পরস্পরকে দেখে চমকে উঠলেন এবং প্রেম এতটাই গভীর যে ছেলেমেয়েদের বিয়ের আগেই পাত্রের মা-পাত্রীর বাবা পালিয়ে গেলেন! এই খবরে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কিন্তু, ব্যাপারটা ঠিক কী? কীভাবে সম্ভব হল? (প্রতীকী ছবি)
-
জানা যাচ্ছে, সুরাটে এক বস্ত্রব্যবসায়ীর কন্যা, নভসারি এলাকার এক যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। এরপর পরিবারের মত নিয়ে তাঁরা বিয়ে করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকাপাকি ভাবে ঠিক হয় বিয়ের দিনক্ষণ। (প্রতীকী ছবি)
পরিবার সূত্রে খবর, এই বিয়েতে মত দিলেও, মাঝেমধ্যেই এই বিয়েতে আপত্তি জানাচ্ছিলেন মেয়ের বাবা। কিন্তু পাত্রের বাড়ি থেকে জোর দেওয়াতেই বিয়ে এক প্রকার পাকা হয়। (প্রতীকী ছবি) এরপর হঠাৎই ১০ জানুয়ারি থেকে মেয়ের বাবা ও ছেলের মায়ের ফোন সুইচ অফ এবং তাঁরা বেপাত্তা। খোঁজা শুরু হয় গোটা এলাকা জুড়ে। দুই পরিবারই থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে একইদিনে। (প্রতীকী ছবি) তবে স্ত্রী কার সঙ্গে পালিয়েছেন তা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন পাত্রের বাবা। তিনি পুলিশকে জানায়, সুরাটের ওই ব্যবসায়ীর (হবু বউমার বাবা অর্থাৎ ছেলের শ্বশুর) সঙ্গেই পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। (প্রতীকী ছবি) ১০ জানুয়ারি বাজার করতে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর তিনি ফেরেনি। ফোনও সুইচ অফ করে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে যে সুরাটে এসে মেয়ের বাবার সঙ্গে দেখা করেন ছেলের মা। এরপর বাইকে চড়ে ৪৮ নং জাতীয় সড়ক ধরে কাদোদারা এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। সেখান থেকে মেয়ের বাবা তাঁর বন্ধু রাজুভাইকে বাইক নিয়ে বাড়িতে রেখে আসতে বলেন। এরপর তাঁরা বাসে উঠে পালিয়ে যান। এখনও অবধি আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের।(প্রতীকী ছবি) মনে করা হচ্ছে, ছেলে-মেয়ের বিয়ের দিন চূড়ান্ত করার সময় দুই পরিবারের আলাপ পর্বেই ঘটনার আসল মোচোড়। পাত্রের মা এবং পাত্রীর বাবা পরস্পরকে দেখেই চমকে যান! মুহূর্তের মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাকে পিছিয়ে যান বছর পঁচিশ।(প্রতীকী ছবি) কথায় বলে, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। তবে শুধু চাল বা ভাতই নয়, প্রেমও যে বাড়ে তা স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, পাত্রীর বাবা এবং পাত্রের মা অতীতে ছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা।(প্রতীকী ছবি) কিন্তু, আজ যিনি পাত্রীর বাবা, তিনি সেদিন ছিলেন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ওদিকে, পাত্রের মা ছিলেন ধনী পিতার একমাত্র কন্যা। তাই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়ের সম্পন্ন পরিবার। শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। এরপর, যে যার জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন এবং নতুন করে ঘর বাঁধেন।(প্রতীকী ছবি) বিচ্ছেদ মেনে নিলেও মনের অন্দরমহলে বেঁচে ছিল বিরহের যন্ত্রণা। এভাবেই কেটে যায় আড়াই দশক। উভয়ের সন্তানই বড় হয় এবং ঘটনাচক্রে প্রেমেও পড়েন একে অপরের। এরপর বিয়ের কথা এগোনোর সময় মেয়ের বাবা ও ছেলের মা মুখোমুখি হন।(প্রতীকী ছবি) ব্যাস্, তৎক্ষমাৎ মনে বেজে ওঠে বেহালার সুর। আর আপোস না, ঠিক করে ফেলেন দু'জনেই। একইসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। ১৩ ফেব্রুয়রি ছেলে মেয়ের বিয়ে, সব যখন চূড়ান্ত হয়ে যায় ঠিক তার আগেই ১০ জানুয়ারি খোলা ডানা মেলেন প্রবীণ কপোত-কপোতী। (প্রতীকী ছবি)
