New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/COVER.jpg)
বুলবুলের ছোবল! নভেম্বরের প্রথম ভাগে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিমি বেগে বাংলার উপকূলে হানা দেয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর দাপটে রাজ্যে প্রাণ হারান অন্তত ১০ জন। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয় কলকাতাতেও। বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। সেরকমই এক মুহূর্তের চিত্র। ছবি - শশী ঘোষ উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সংঘাত। ফলত, বছর শেষে রাজ্য জুড়ে কুয়াশা। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী বাতাসের দাপটে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। ফের অকাল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ছবি - শশী ঘোষ বছরের শেষ দু'সপ্তাহ ধরে ঠাণ্ডায় নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা। বছরের শেষ দিনে জেলাগুলির মধ্যে কালিম্পং ছিল শীতলতম, পারদ ছুঁয়েছিল ৪ ডিগ্রি। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির কিছু বেশি। ছবি - শশী ঘোষ দুর্গাপুজোর আগে কুমোরটুলি। এই ছবি পুরোনো হওয়ার নয়, যদিও এবছর আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়ে কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কুমোরপাড়ার ওপরেও। ছবি - শশী ঘোষ এবছর মোটের ওপর ঘটনাবহুল ছিল বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পারদ ওঠানামা করে ক্রমাগত। শহরের পথে বেরোয় একাধিক মিছিল। সেরকমই এক মিছিলের খণ্ডচিত্র। ছবি - শশী ঘোষ রাজ্যের অসংখ্য ইটভাটায় আজও অমানুষিক পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন বহু মানুষ। দিনমজুরদের ভাগ্য ফেরার কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি এবছরও। ছবি - শশী ঘোষ চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে প্রধানত কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, কলুটোলা স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, মানিকতলা ও শিয়ালদহ এলাকাতেই ছিল মেসের রমরমা। তার কারণ, পা বাড়ালেই ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত। ব্যোমকেশ থেকে ঘনাদা, অনেক বর্ণময় চরিত্রের ঠিকানা ছিল মেসবাড়ি। আজ সেইসব মেসবাড়ির ভগ্নদশা নিয়েই লেখা হয়েছিল আমাদের প্রতিবেদন। ছবি - শশী ঘোষ এবছর গ্রেটা থুনবার্গের মতো আন্তর্জাতিক পরিবেশকর্মীর দৌলতে আমরা বাধ্য হই, আমাদের চারপাশের ভয়াবহ দূষণ সম্পর্কে আরও সচেতন হতে। তারই প্রতিফলন এই পলিউশন মাস্ক পরা দুর্গার মুখ। ছবি - শশী ঘোষ বছর ঘুরে ফের আসন্ন গঙ্গাসাগরের দিকে যাত্রা করার লগ্ন। ছবি - শশী ঘোষ সিনেমা হলে সিনেমা আসে সিনেমা যায়, শহরে সিনেমার পোস্টারও মুখ বদলায়। মানুষের জীবনও ঠিক ছবির পোস্টারের মতন। সময়ের সঙ্গে বদলাতে থাকে রাগ, দুঃখ, অভিমান, সম্পর্ক। আজ যে কিশোর, কাল সে হবে বৃদ্ধ। ৩০০ বছরের শহরে এরকম কত ছবির পোস্টার দেখেছে তার হিসেব নেই। এরকমই পোস্টারের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের লেন্স। ছবি - শশী ঘোষ এবছর লোকসভা ভোটের আগে আমাদের প্রতিনিধিরা যান কোচবিহারের ছিটমহলে। স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল সমস্যা। সীমানা নির্ধারণের নিয়ম মানা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই। মূলত এক দেশের ভূখন্ডের চারিদিকে দ্বীপের মত ছোট্ট জমির খণ্ডটি অন্য এক দেশের। যার পোষাকি নাম ছিল ছিটমহল। ভারতের ১১১টি ছিটমহল ছিল বাংলাদেশে, এবং বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ছিল ভারতে। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই সব ছিটমহল দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক হস্তান্তর হয়। রাষ্ট্রহীন ছিটের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব জুটলেও এখনও জোটে নি আরও বিশেষ কোনও সুবিধেই। ছবি- শশী ঘোষ দেখতে দেখতে স্বাধীনতার সাত দশক পার। এই বিরাট সময়কালে বদলে গেছে অনেক কিছুই। আসলে বদলানোরই তো কথা ছিল। আবার বদলাল না অনেক কিছুই। এই যেমন লাল দুনিয়া। সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন পেশা হিসাবে সেমিনারে-বৈঠকে আলোচনা হল বিস্তর। কিন্তু কতটা বদলাল আজকের রেডলাইটের জীবন? স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সোনাগাছির অলিতে-গলিতে ঢুঁ মারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তাতেই উঠে আসে তিন কন্যার গল্প। ছবি - শশী ঘোষ কলকাতার রাজপথে ‘লং মার্চ’। চিত্তরঞ্জন থেকে ১২ দিন ধরে ২৮৩ কিমি পথ পেরিয়ে হাওড়া ব্রিজে পা রাখে এই দীর্ঘ পদযাত্রা। এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে ৩০ নভেম্বর থেকে ‘লং মার্চে’র ডাক দেয় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। এই পদযাত্রায় অংশ নেয় বাম ও কংগ্রেসের বিভিন্ন সংগঠন। ছবি - শশী ঘোষ লং মার্চে পা মেলান সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুর মতো বাম নেতারাও। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ করার প্রতিবাদ, শিল্প ও কাজের দাবির পাশাপাশি এনআরসি-র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে লং মার্চ। ছবি - শশী ঘোষ সেপ্টেম্বর মাস থেকে সারা দেশে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। কলকাতা ও দিল্লির তুলনায় মুম্বই ও চেন্নাইয়ে পেঁয়াজের দাম খানিকটা কম। ডিসেম্বরে কলকাতার বাজারে সেই দাম ছুঁয়ে ফেলে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। আপাতত আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। ছবি - শশী ঘোষ এবছর রাজ্যে বর্ষা আসে যেন বহু মানুষের মিলিত তপস্যার পর। আষাঢ়ের পাঁচ তারিখে অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছয় বহু প্রতীক্ষিত মৌসুমি বায়ু। স্মরণকালে সম্ভবত বর্ষার জন্য এত কাতরভাবে প্রার্থনা জানান নি বঙ্গবাসী। ছবি - শশী ঘোষ দম বন্ধ করা ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। এবছর রেকর্ড পিছিয়ে যায় বর্ষা, এমটাই জানায় হাওয়া অফিস। তীব্র গরমকে খানিক দমাতে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা দিলেও লাভ হয়নি। বরং ক্রমশ বাড়ে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। মৌসুমি বায়ুর আগমনে প্রথম দফায় বৃষ্টি কম হলেও, চাদিফাঁটা রোদ থেকে পাওয়া যায় খানিক নিস্তার, পাশাপাশি কমে তাপমাত্রাও। ছবি - শশী ঘোষ সেপ্টেম্বরে পালিত হয় মহরম। সেদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাজিয়া বের করেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। বহু জায়গা থেকে তাজিয়া এসে আমহার্স্ট স্ট্রিট, শিয়ালদায় জমায়েত হয়। তাজিয়ায় শোকের পোশাক পরে অংশ নেন বহু ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ছবি - শশী ঘোষ 'মহরম' আদতে একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ 'সম্মানিত'। ইসলামের সমস্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা এই মাসেই ঘটেছিল। ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম পবিত্র মাস মহরম। যুগে যুগে এই দিনযাপনের সাক্ষী শহর কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ। ছবি - শশী ঘোষ ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস পালিত হয়ে আসছে ১৯৯৩ সাল থেকে। প্রতিবারের মতোই এবারও কলকাতার বুকে উপস্থিত হন হাজার হাজার দলীয় সমর্থক, যাঁদের সারাদিনের খাওয়াদাওয়ার ভার নেয় দল। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সিপিএমের 'সায়েন্টিফিক রিগিং' আটকাতে ভোটার কার্ডকে একমাত্র ভোটের নথি হিসেবে মান্য করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। সেদিন ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এর প্রতিবাদে প্রতি বছর এই দিনটিতে কলকাতার বুকে সমাবেশ করেন মমতা। ছবি - শশী ঘোষ ভারতের শুধু নয়, সম্ভবত এশিয়ার ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলির একটি হলো শিয়ালদা। সেই স্টেশনের চত্বরে শুয়ে এমন নিশ্চিন্তে ঘুম বোধহয় তিনিই দিতে পারেন, এই স্টেশনের কোলেপিঠেই মানুষ হয়েছেন যিনি। সেই মুহূর্তের ছবি আমাদের ক্যামেরায়। ছবি - শশী ঘোষ মহালয়ার আগে থেকেই একেবারে পুজোর ধুম লাগে শহর কলকাতায়। আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর মাত্র এক দিন আগে পর্যন্তও শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছন ঢাকিরা। বীরভুম, বাঁকুড়া, নদীয়া থেকে শিয়ালদা আসেন তাঁরা। তারপর কোনো এক ক্লাব কর্তার সঙ্গে চলে যান তাঁদের পাড়ায়। ঠিকঠাক রাস্তাও চেনেন না কলকাতার। ক্লাবের লোকেরাই আবার শিয়ালদা স্টেশনে পুজোর পর পাঠিয়ে দেন। ছবি - শশী ঘোষ এই দুনিয়াটাই তো তামাশা। মায়াজালে জড়িয়ে পড়ে আমরা তা আর মনে রাখি কই? মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয় কলকাতার পথেঘাটে হঠাৎ দেখা এরকম দৃশ্য। ছবি - শশী ঘোষ