Advertisment
পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ

করোনা মহামারীতে দিন ফুরোচ্ছে কলকাতার হাতে টানা রিকশার

লকডাউনে সব থেকে সমস্যায় পড়েছেন 'দিন আনি দিন খাই'‌ মানুষরা। তেমনই ভুগছেন কলকাতার বুকে এখনও চালু থাকা হাতে টানা রিকশাচালকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
হাতে টানা রিক্সা, Hand pulled rikshaw, কলকাতা, Kolkata, করোনা, Corona, কোভিড-১৯, Covid- 19, পশ্চিমবঙ্গ, West bengal, রিক্সা, Rikshaw, ঐতিহাসিক, Vintage

প্রায় তিনশো বছরের পুরোনো রাজধানী শহর কলকাতার অনেক কিছুই বদলে গেছে। এর মধ্যেই বেঁচে আছে কলকাতার ঐতিহ্যরা। যেমন ট্রাম, যেমন হলুদ ট্যাক্সি,হাতে টানা রিক্সা। আজও উত্তর কলকাতার অলি-গলি কিংবা রাজপথে চোখে পড়বে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই টানা রিক্সা। একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কানে বেজে চলেছে ঠুং ঠুং আওয়াজ। যদিও কলকাতার এই চেনা ছবিও বদলে গেছে লকডাউনের কয়েকমাসে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

  • প্রায় তিনশো বছরের পুরনো রাজধানী শহর কলকাতার অনেক কিছুই বদলে গেছে। এর মধ্যেই বেঁচে আছে কলকাতার ঐতিহ্যরা। যেমন ট্রাম, যেমন হলুদ ট্যাক্সি, হাতে টানা রিকশা। আজও উত্তর কলকাতার অলি-গলি কিংবা রাজপথে চোখে পড়বে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই টানা রিকশা। একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কানে বেজে চলেছে ঠুং ঠুং আওয়াজ। যদিও কলকাতার এই চেনা ছবিও বদলে গেছে লকডাউনের কয়েক মাসে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • লকডাউনে সব থেকে সমস্যায় পড়েছেন 'দিন আনি দিন খাই'‌ মানুষরা। তেমনই ভুগছেন কলকাতার বুকে এখনও চালু থাকা হাতেটানা রিকশাচালকরা। যেহেতু এধরনের রিকশা দেশের একমাত্র উত্তর এবং মধ্য কলকাতার একাংশেই দেখা যায় তাই তাঁদের সংখ্যাও অনেক কম। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • এত দিন এই হাতেটানা রিকশাচালকদের যাত্রী সংখ্যাও ছিল প্রায় হাতে গোনা। সেখানে লকডাউনের জন্যে সেই যাত্রী সংখ্যাও প্রায় শূন্যে নেমে গিয়েছিল। তার ফলে পেটে টান পড়েছে হাতেটানা রিকশাচালকদের। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • রিকশাচালকদের বেশীরভাগই আসেন বিহার, ঝাড়খণ্ড এর মত জায়গা থেকে। বংশানুক্রমিকভাবে তারা হাতেটানা রিকশাচালকরা এই কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবার পরিজন ছেড়ে কলকাতায় আসেন রোজগারের আশায়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • করোনা প্রকোপে লকডাউনের গেরোয় শহরে আটকে পড়েছিলেন তাঁরাও। রাজপথের কিনারে তাই চুপ মেরে বসে থাকতেন কলকাতার এই রিকশাচালকরা। লকডাউন উঠতেই যে যার দেশে ফিরে গিয়েছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজারের দিকে এগোলে দেখা যাবে রাস্তার দু’‌ধারে পরপর লোহার বেড়ের হাতল ধরা রিকশাগুলি সারিবদ্ধভাবে এখন দাঁড়িয়ে আছে। টানার চালক নেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • বিহারের বাসিন্দা, কিন্তু ৪৫ বছর ধরে এই রিকশা চালান যাদব সাউ। শহরের ওঠা পড়ার নানা কাহিনি তিনি দেখেছেন, কিন্তু এমন অবস্থা কখনও দেখেননি তিনি। এভাবে শহর স্তব্ধ হতে কোনও দিন হয়নি। রোজগার ছাড়াও এভাবে কোনওদিন দিন কাটেনি। শহরের অনেকে দেশে চলে গিয়ে চাষবাস করছেন আর ফিরবেন না এই শহরে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • দিনে ১০০টাকা রোজগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই হাতে টানা রিক্সা চালকদের। যদিও যানজটের জন্যে কলকাতা শহরে হাতে টানা রিকশা বাতিল হয়েছে ১৪ বছর আগে। কিন্তু তার পরেও ‘স্বমহিমায়’ শহরের বেশ কিছু অংশে চলছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর পর এখন তাও আর দেখা যাবে না। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • ১৮৯০ সালে জাপান থেকে কলকাতায় প্রথম আসে কাঠের তৈরি হাতে টানা রিকশা। সেই থেকে চলছিল কলকাতায় যানটি। এমনিতেও দিন ফুরিয়ে এসছিল কলকাতার পুরনো বাহনের। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
  • করোনা মহামারী সব ছবি বদলে দিয়েছে। হয়তো কিছুদিন পরে কলকাতা শহরে আর ছুটতে দেখা যাবে না এই হাতে টানা রিকশাকে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
kolkata COVID-19
Advertisment