New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Durga-cover.jpg)
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। অক্টোবর মাসে দুর্গাপূজা। আর বাকি মাত্র চারমাস। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা প্রায় দোরগোড়ায় বলা যেতে পারে। প্রতি বছর এমন সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যে চলত প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা এমনটাই ছিল সকলের চেনা ছবি। কিন্তু গত বছর থেকেই হয়েছে এই সব কিছুরই ছন্দপতন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। অক্টোবর মাসে দুর্গাপূজা। আর বাকি মাত্র চারমাস। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা প্রায় দোরগোড়ায় বলা যেতে পারে। প্রতি বছর এমন সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যে চলত প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা এমনটাই ছিল সকলের চেনা ছবি। কিন্তু গত বছর থেকেই হয়েছে এই সব কিছুরই ছন্দপতন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ করোনাভাইরাসের জেরে জেরবার সকলে। লকডাউনে পুজো নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। গত বছরেও পুজোর আগে লকডাউনের জন্যে সমস্যায় পরেছিল শিল্পীরা। এ বছরেও একই পরিস্থিতি তাদের। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ কোথাও ক্লাবে কোনও খুঁটিপুজোর ধূম, নেই প্রতিমা শিল্পীদের সেই চেনা ছন্দও। ভয় এবং আতঙ্কে পুজোর কথা সবাই যেন ভুলে গিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন মৃৎ শিল্পীরা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ 'গত বছর যে পরিমাণ লোকসান হয়েছিল তা এই বছর কাজ করে তারা পুষিয়ে দেবে বলে মনে করেছিলাম। এই বছর যে গত বছরের তুলনা আরও খারাপ হবে ভাবতে পারিনি' এমনটাই বক্তব্য বারাসাতের প্রতিমা শিল্পী সঞ্জয় পালের। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ রথের আগে থেকে কিছু কিছু ঠাকুর তৈরির অর্ডার আসতে শুরু করে এবার তার কিছু নেই। পুরনো অনেক ঠাকুরই এখনও শিল্পীদের স্টুডিওতে পরে আছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ এমন পরিস্থিতিতে সংসার কিভাবে চলবে সে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার প্রতিমা শিল্পীদের কপালে। শিল্পীদের কথায়, করোনার জন্যে অনেক শিল্পী ঠাকুর তৈরির পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। বেশীরভাগ শিল্পীরাই নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলার। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ লকডাউনের জন্যে তারা কাজে ফেরেনি। প্রতিমা তৈরির বরাত না থাকায় এখনও পর্যন্ত প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগাননি জেলার বহু প্রতিমা শিল্পী। প্রতিমা শিল্পীদের প্রধান উপার্জনের জায়গা দুর্গাপূজার মরসুমে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ প্রতিমা তৈরি করে যা আয়- ইনকাম হতো তা দিয়েই সারা বছরের সংসার চলে তাদের। গত বছর থেকে যেভাবে আর্থিক সঙ্কটে পরেছেন তাতে কতজন শিল্পীকে এই পেশায় ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে তা বেশ চিন্তার বলে মনে করছেন বছর সত্তরের শিল্পী হরগোবিন্দ পাল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ গত বছর পুজোর বাজেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে দুর্গা প্রতিমার উচ্চতা। অন্যান্য বছরগুলোতে এই সময়ে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা পড়ে যেত, কে কত প্রকাণ্ড প্রতিমা গড়ছেন, তা নিয়ে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ . এখন এসবের তোড়জোড় যে কিছুই নেই তা মৃৎ শিল্পীদের পাড়ায় গেলে বোঝা যায়। মাস দুয়েকের মধ্যেই বিশ্বকর্মা পুজা। তার জন্যেই এই লকডাউনে বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরি করে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও গত বছর বেশীরভাগ মূর্তি বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা। এক- এক বছর প্রায় ২০ থেকে ২৫টি দুর্গা ঠাকুর তৈরি করতেন প্রতিমাশিল্পীরা। এই বছর এখনও দুর্গা তৈরির কাজে হাতও দেয়নি। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। যদি লকডাউন শেষে রথ যাত্রায় কিছু ঠাকুর তৈরির বরাত পাওয়া যায় তবে কোনমতে সংসার চালানো যাবে। আর তা না হলে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ আনন্দ উৎসব এই দুর্গাপূজা মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ