Awas Yojana: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরেও বিরাম পড়েনি কাটমানি কালচারে। সেই কালাচারেরই এবার শিকার হলেন বাংলা আবাস যোজনার এক উপভোক্তা।তাঁর নির্মীয়মান বাড়ির ছবি তুলতে গিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেছেন তিন হাজার টাকা। এমন অভিযোগ এনে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের উক্তা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা নিভা পালের। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিল্লু মাজির বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে ইতিমধ্যে তিনি এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়েই নড়ে চড়ে বসে ব্লক প্রশাসন।
জানা গিয়েছে নিভা পাল নামে ওই মহিলার এবছর বাংলা আবাস যোজনার অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যাওয়ার পর তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এরপর তাঁর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা। বিডিওকে নিভাদেবী জানিয়েছেন," প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য আবেদন জনান।তারপর গত বুধবার প্রশাসনের এক প্রতিনিধি তাঁর বাড়িতে আসে। ওই প্রতিনিধি যখন তাঁর নির্মীয়মান বাড়ির ছবি তুলতে যান তখন পঞ্চায়েত সদস্য বিল্লু মাজি ছবি তুলতে নিষেধ করে।
বিল্লু বলেন, তিন হাজার টাকা না দিলে ছবি তোলা হবে না" ।এই ঘটনায় জানতে পেরে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির যুবমোর্চার বর্ধমান বিভাগের কনভেনর সৌমেন কার্ফা বলেন,"এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হাঁশিয়ারি দেওয়াই সার। আবাসে কাটমানি কালচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। কাটমানির জন্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা গরিব অসহায় মানুষদেরকেও ছাড়ে না।
বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আবাস যোজনার কাট মানি নিয়ে আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ সরকারের কাছে গোটা বিষয়টি জানালেও তিনি কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয় নি। গ্রামের অনেকেরই দাবি কাট মানিতে স্বয়ং ব্লক সভাপতিই জড়িত। যদিও এই বিষয়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।