বছরের চার দিন। ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরে। গোটা বছরের অপেক্ষা থাকে এই চারদিনের জন্য। নবমী নিশি পোহালো মানে বিদায়ের সুর ঢাকের কাঠিতে। উমার এবার ফেরার সময়। করোনার জেরে পুজোয় উৎসবে কমতি থাকলেও উপাচারে নয়। তাই নিয়ম মেনেই দেবী বরণ শুরু হল। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ পানপাতা, সিঁদুরে, মিষ্টিতে দুর্গতিনাশিনীকে বরণ চলে। এদিন যেন মৃন্ময়ী মূর্তিরও চোখের কোণে জল চিকচিক করে। আগমনে যতটা আনন্দ, গমনে যেন তার চেয়েও বেশি কষ্ট। আবার আরেক বছরের প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শুরু হয় আজ থেকেই। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ আসলে দশমী কথাতেই যেন থাকে বাঙালির আবেগ ও মনখারাপের মিশ্র অনুভূতি। দশমীতে পুজোর আচার-অনুষ্ঠানের পর থেকেই শুরু হয় বরণ পর্ব ও সিঁদুর খেলা।কলকাতার চ্যাটার্জি বাড়ির ছবি। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ কলকাতা-সহ অনেক বনেদী বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ বিবাহিত নারীরা সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে-অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। এই সিঁদুর মাখিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানানোর প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ তবে এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে হচ্ছে না সিঁদুর খেলা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরোয়াভাবি পালিত হচ্ছে এই উৎসব। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এবার দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসেছিলেন দোলায় বা পালকিতে চড়ে। দোলায় আসার অর্থ মড়ক বা মহামারী। ফিরে যাবেন গজের পিঠে বা হাতিতে চড়ে। গজে চড়ে গমনের ফল অবশ্য শুভ হয়। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
দশমীতে মন খারাপের সুর, নিয়ম মেনেই শুরু দেবী বরণ
বার করোনা পরিস্থিতির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে হচ্ছে না সিঁদুর খেলা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরোয়াভাবি পালিত হচ্ছে এই উৎসব। সিঁদুর মাখিয়ে দুর্গা মাকে বিদায়।
Web Title: Durga pujo boron immersion durga idol sindhur khela kolkata