পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতি
দোরগোড়ায় শারদোৎসব। তার আগে DVC-র ছাড়া জলে কার্যত বানভাসি পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু অংশ।
জলে ডুবে বাড়িঘর, উঠোন
কোনও কোনও জায়গায় দামোদর উপচে জল পৌঁছে গিয়েছে গৃহস্থের বাড়ির একেবারে দুয়ারে। আবার কোনও কোনও জায়গায় দামোদর উপচে পড়া জলে থই থই গ্রামের পর গ্রাম।
জলে ডুবে প্রাথমিক স্কুল
বন্যা যে কারণেই হোক না কেন হুগলির আরামবাগের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলায় জামালপুর ও রায়না ২ ব্লকের কয়েকটি অঞ্চল সহ গুসকরার বাসিন্দাদের এখন চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
সময়ে মিলছে না ত্রাণ
প্রশাসনের কথায় ঘর বাড়ি ছেড়ে কেউ বাঁধে আবার কেউ পাকা রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছেন। তবে মাথার উপর আচ্ছাদন দেওয়ার মত ত্রিপল ও খাবারদাবার যথা সময়ে না মেলায় বানভাসিদের মধ্যে অনেকে ক্ষোভ উগরে দেন।
বাড়িতেই আটকে অনেকে
DVC-র ছাড়া জলে সব থেকে বেশি বানভাসি হয়েছে আরামবাগের গোঘাট ও খানাকুল প্রভৃতি এলাকা। ততটা না হলেও দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর সংযোগস্থলে থাকা পূর্ব বর্ধমানের জালালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের অমরপুর ,শিয়ালী, কোরা ও উজিরপুর এলাকার বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার নিয়েছে ।
দুর্ভোগে গ্রামবাসী
অনেক গৃহস্থের বাড়ির চৌকাঠ ছাপিয়ে জল ঘরের ভিতরে পর্যন্ত প্রবেশ করেছে । ধান সহ সবজি চাষের জমিও জলে ডুবেছে। ত্রিপল ও খাবারদাবার না মেলার অভিযোগ এনে দুর্ভোগে পড়া এইসব এলাকার অনেক মহিলা ক্ষোভ উগরে দেন ।