কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশাকে সঙ্গী করেই শুরু হল এবারের সাগরসঙ্গমে পুণ্যস্নান। সোমবার ভোরে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্য অর্জনের আশায় গঙ্গাসাগরে ডুব দিলেন লাখো পুণ্যার্থী।সোমবার সাগরে পুণ্যাস্নানের পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। প্রচুর ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমাগম ক্রমশ বাড়ছে।নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সাগর দ্বীপের মেলা চত্বর। রয়েছে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প, চলছে আকাশপথে ও জলপথে কড়া নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, এনডিআরএফ, অসামরিক প্রতিরক্ষা ছাড়াও সতর্ক ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন উড়িয়ে আশপাশে নজরদারির পাশাপাশি জলপথে স্পিড বোট ও হোভারক্রাফটে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌসেনা।গঙ্গাসাগরে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানাচ্ছেন, গঙ্গাসাগরে এখনও প্রায় ৬০লাখ পুণ্যার্থীর সমাগত হয়েছে।উত্তরপ্রদেশের কুম্ভের পর বাংলার গঙ্গাসাগার মেলা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় মেলা।রাজা ভগীরথের নাম অনুসারে গঙ্গার নাম হয় ভাগীরথী। রাজা সগরের নামে সমুদ্রের নাম হয় সাগর। সমুদ্র ও নদীর মধ্যবর্তী দ্বীপের নাম হয় সাগরদ্বীপ।বিশ্বাসে ভর রেখেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মোক্ষের সন্ধানে মকর সংক্রান্তির সময়ে গঙ্গাসাগর মেলায় যান। তারা বিশ্বাস করেন, সাগরসঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এই বিশ্বাসে ভর দিয়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কপিল মুনির মন্দির দর্শন করেন 'সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার'।