New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/09/charlie-cover.jpg)
গৌতম অধিকারী। গত ৩২ বছর ধরে চার্লি চ্যাপলিন সেজে ঘুরে বেড়ান কলকাতা শহরে। বছরের প্রতিটা ছুটির দিনে ওনাকে ভিক্টোরিয়া,জাদুঘর কিংবা চিড়িয়াখানার সামনে দেখা যায়। এই বছর ওনাকে কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২৬শে জানুয়ারি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করার পর থেকেই বিশ্বের বহু দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এই দীর্ঘ সময়ের লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ভারতেও বহু মানুষের এর থেকে বাদ পড়েনি। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির দিকে সকলে এগোচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যে গোটা দেশে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ অনেক অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। আগের মত অনেকে কাজের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন। তবুও এমন অনেকে আছেন যারা এখনও বাড়িতে বসে। কারণ তাঁদের পেশাটাই একটু অন্য ধরণের। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ যেমন গৌতম অধিকারী। গত ৩২ বছর ধরে চার্লি চ্যাপলিন সেজে ঘুরে বেড়ান কলকাতা শহরে। বছরের প্রতিটা ছুটির দিনে ওনাকে ভিক্টোরিয়া,জাদুঘর কিংবা চিড়িয়াখানার সামনে দেখা যায়। এই বছর ওনাকে কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২৬শে জানুয়ারি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এর পর থেকে চ্যাপলিন যেন গৃহবন্দি হয়ে গেলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হল। গৌতমবাবুও তখন থেকে কর্মহীন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ দীর্ঘ সাত মাস ধরে বাড়িতে বেকার হয়ে বসে আছেন তিনি। স্ত্রী, মেয়ে এবং বৃদ্ধা মাকে নিয়ে চার জনের সংসার। এতদিন বেশ ভালোই চলছিল তাঁর। কাজের সুবাদে তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এখন চ্যাপলিন সেজে নিজের ছোট্ট ঘরেই ঘুরে বেড়ান। গৌতমবাবুর কথায়, "জীবনটা হঠাৎ করেই থমকে গেল। কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। গত বছর কাজের চাপ এত বেশী ছিল যে ঘরে এসে খাওয়ার সময়টুকুও পেতাম না। এখন সারাদিন ঘরেই বসে আছি"। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ ঘরে থাকলেও চ্যাপলিন সেজে রোজ তিন থেকে চার ঘন্টা অনুশীলন করেন। তার কথায় চ্যাপলিনের অভিনয় করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্যে মুখের অভিব্যাক্তি এবং শারীরিক কসরতের প্রয়োজন আছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ কলেজে পড়ার সময় এক বন্ধুর সঙ্গে প্রথম চ্যাপলিনের সিনেমা দেখা। এরপর থেকেই চ্যাপলিনকে গুরু হিসেবে মানতে শুরু করেন। নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন চ্যাপলিনকেই। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই চলছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বছর পঞ্চাশের গৌতমবাবুর বক্তব্য, চ্যাপলিন কঠিন থেকে কঠিন জিনিসকে সহজ করে বুঝিয়েছেন হাসির মাধ্যেমে যা কেউ করতে পারেন না। এখন এই কঠিন পরিস্থিতিতে একজন চ্যাপলিনকেই দরকার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বিভিন্ন এনজিও, সমাজ সচেতনতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাসে তার ২০ থেকে ২৫ হাজারের মত রোজগার ছিল। গত কয়েক মাসে এসবের কিছুই এখন নেই। যা জমা ছিল তাও এই লকডাউনেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ রাস্তায় কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে চ্যাপলিনের অভিনয় দেখে অনেকের ভালোবাসা পেয়েছেন। সেই সঞ্চিত ভালোবাসাই এখন বেঁচে থাকার রসদ যোগায় তাঁকে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ গৌতমবাবুর আশা খুব তাড়াতাড়ি সব আগের মত হবে। আবার চ্যাপলিন কলকাতায় ফিরে যাবে কষ্ট ভুলিয়ে মানুষকে হাসাতে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ