-
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে হাওড়া-শিয়ালদহ সহ রাজ্যের সমস্ত জায়গায় চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। দীর্ঘ আট মাস পর চালু হচ্ছে রেল পরিষেবা। শহরতলির বিভিন্ন এলাকার মানুষ নির্ভর করেন লোকাল ট্রেনের উপর। করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত রকম পরিবহণ পরিষেবা। মেট্রো, বাসের মত অনান্য গণপরিবহনগুলো চালু হলেও এতদিন বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
রেল ও রাজ্যের বৈঠকে ঠিক করা হয় সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল চালাতে প্রস্তুত রেল। কালীপুজোর আগে বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হবে পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
রেলসুত্রে খবর, প্রতিদিন রাজ্যে ৬৯৬টি ট্রেন চলবে। শিয়ালদা ডিভিশনে চলবে ৪১৩টি ট্রেন, শিয়ালদা উত্তর ও মেইন শাখায় চলবে ২৭০টি ট্রেন, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলবে ১৪৩টি ট্রেন, হাওড়া স্টেশনে ২০২টি ট্রেন, বাকি ৮১টি ট্রেন চলবে খড়গপুর ডিভিশনে। এ খবরে রেল যাত্রীরা খুবই খুশি। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
রেল জানিয়েছে, স্টেশনে ও ট্রেনের কামরায় স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বাধানিষেধ মেনেই যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য মাস্ক-স্যানিটাইজার ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করা হয়ে সমস্ত ষ্টেশনগুলোতে। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বজায় রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব। তবে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কিভাবে পালন করা হবে তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছে রেল। বাস চালু হওয়ার পর সেগুলোতে গাদাগাদি ভিড় হয়েই চলেছে। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ট্রেন চালু হলে লোকাল ট্রেনের ওপর নির্ভর যাত্রীরা অনেকটাই স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শিয়ালদার ট্রেনের মধ্যে বেশিরভাগই চলবে নর্থ লাইনে, ১৭০টি চলবে সাউথ লাইনে। দরকার হলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
সমস্ত ট্রেনের তথ্য পাওয়া যাবে রেল স্টেশনেই এছাড়াও রেলের ওয়েবসাইটেও রেলে টাইমটেবিল দেখে নিতে পারবেন। মান্থলি টিকিটের ক্ষেত্রে পুরনো টিকিটকে আবার নতুন করে কার্যকর করা হবে। গতকাল ইতিমধ্যে সোমবার সকাল আটটা থেকেই সব টিকিট কাউন্টার খুলে গিয়েছে। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
টিকিট কাউন্টারের সামনে করা হয়েছে গোল করে মার্কিং। টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের ওই গোল মার্কিংয়ে দাড়িয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটতে হবে। স্টেশনে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় থাক তারজন্য বসানো হচ্ছে গার্ডরেল। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
একদিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে অন্যদিক দিয়ে বাইরে বেরোতে হবে। যদিও করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী করা উচিত, সে বিচার যাত্রীদের উপরে ছেড়ে, শুধুমাত্র মাস্ক বাধ্যতামূলক করে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হচ্ছে। কিন্তু শিয়ালদা ডিভিশনে অত্যধিক যাত্রীর কথা মাথায় রেখেই গত শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিয়ালদা ডিভিশনে ২৫% নয়, বরং ৪৬ শতাংশ ট্রেন চালাবে রেল। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের সামনে তুলে ধরেন। তার পরই শিয়ালদহ ডিভিশন ৪৬ শতাংশ ট্রেন অর্থাৎ রোজ ওই লাইনে ৪০০টি লোকাল ট্রেন চলতে পারে। হাওড়া ডিভিশনে ১০০টি এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ৩৪টি ট্রেন চলবে। কোনও গ্যালপিং ট্রেন রাখা হয়নি। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
প্রতিটি প্রধান স্টেশনেই সব ট্রেন দাঁড়াবে। শুধু তাই নয়, লোকাল ট্রেন পরিষেবার সঙ্গে তাল রেখেই ১১ নভেম্বর থেকে থেকে বাড়ানো হচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেলের ট্রেনের সংখ্যাও। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই দিন থেকে প্রতিদিন মোট ১৯০টি ট্রেন চালানো হবে। সকাল এবং বিকেলে অফিস টাইমে ৭ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বর্তমানে দিনে ১৫০টির মতো ট্রেন চালাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। প্রথম দিকে মেট্রো যখন চালু করা হয়েছিল তখন গড়ে রোজ যাত্রী সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রেলের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি হবে মনে করছেন অনেকে। এই কথায় মাথায় রেখে মেট্রোর পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
অন্যদিকে, এতদিন ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজ্যের বেশ কিছু স্টেশনে বিক্ষোভও হয়েছে। কবে থেকে, কী ভাবে লোকাল ট্রেন চালু হবে, তা নিয়ে এতদিন নানা জল্পনা চলছিল। আপাতত তার সুরহা হয়েছে বটে, কিন্তু দুশ্চিন্তার বিস্তর অবকাশ রয়েছে। কেননা, রেলযাত্রায় মাত্রাছাড়া ভিড় কিভাবে লাগাম টানবে রেল এবং রাজ্যে তা নিয়ে রয়েছে এখনও বিস্তর এক ধোঁয়াশা। একপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
