New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/LOCKDOWN-LIFE-COVER.jpg)
লকডাউন এবং জীবন এই দুটো শব্দ এখন একে অপরের পরিপূরক। গত বছর থেকে করোনার জন্যে ওলট পালট হয়েছে সব মানুষের জীবন। আমরা হয়তো স্বপ্নেও ভাবিনি একটা ভাইরাসের জন্য বন্ধ হতে পারে গোটা বিশ্ব। চোখের নিমেষে বদলে যেতে যাবতীয় নিয়ম। চারদিকে বিরাজ করতে পারে শুধু অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা। এসব যেন চোখের পলক ফেলতেই আঁধার নেমে আশার মতন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
লকডাউন এবং জীবন এই দুটো শব্দ এখন একে অপরের পরিপূরক। গত বছর থেকে করোনার জন্যে ওলট পালট হয়েছে সব মানুষের জীবন। আমরা হয়তো স্বপ্নেও ভাবিনি একটা ভাইরাসের জন্য বন্ধ হতে পারে গোটা বিশ্ব। চোখের নিমেষে বদলে যেতে যাবতীয় নিয়ম। চারদিকে বিরাজ করতে পারে শুধু অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা। এসব যেন চোখের পলক ফেলতেই আঁধার নেমে আশার মতন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ করোনার জন্যেই যে এমন অবস্থা হয়েছে মানুষের তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়টি হলো গত বছর থেকে এই বছরের এখনও পর্যন্ত মানুষ মরছে লাখে লাখে। গণ চিতা জ্বলল। কর্মহীন হয়েছে অনেকে। শুধুমাত্র ছোট একটি ভাইরাসের কারণে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ বিশ্বায়নের আগে এ রকম মহামারির ইতিহাস ছিল। কিন্তু মানবসভ্যতার এমন অবগতির সময়ে এরূপ একটি মহামারি রাতারাতি পৃথিবীকে পুরোপুরি কাবু করে ফেলল ভাবতে অবাক লাগে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত একটি ভাইরাস এভাবে রাজত্ব চলেছে। আতঙ্ক ধরিয়ে দিচ্ছে মানুষের মনে। অর্থনীতি, রাজনীতি, তাবৎ বিজ্ঞান, সমাজনীতিসহ প্রায় মানবসভ্যতাকেই থামিয়ে দিল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ দেশজুড়ে করোনা মোকাবিলায় চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। আর এই টানা লকডাউনে সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মজুরেরা। পরিবারে শুরু হয়েছে অভাব অনটন। পেটে পরেছে তালা। পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন জোগাতে হিমসিম খাচ্ছে সকলেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ অনিশ্চিত হয়েছে রোজগার। যেটুকু সঞ্চয় করে রাখা ছিল তাও শেষ হয়েছে কবেই। তবুও লকডাউন কে সমর্থন করে অনেকেই রয়েছে গৃহবন্দী হয়ে। ঘরের বাইরে কিংবা ভেতরে সব মানুষেরই মধ্যেই রয়েছে এক আতঙ্ক। তবে বর্তমানে আমরা এই একঘেয়ে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ সংক্রামক করোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ করেই সমগ্র পৃথিবীই স্তব্ধ গিয়েছে নিমেষে। ফলে আমরা এক অন্য জীবন স্বচক্ষে দেখলাম। দেশে যখন প্রথম লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখনও হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেনি এরপর ঠিক কি কি হতে চলেছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ পৃথিবী যেন নিমেষেই নিজের রূপ বদলে ফেলল। জীবনের গতি হারিয়ে গিয়েছে। এ যেন এক অন্য পৃথিবী! একবিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রা হঠাৎ যেন থমকে গেল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ গত কয়েকদশকে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতিসাধনের ফলে পৃথিবী এগিয়ে গিয়েছিলো কয়েক কদম। করোনার জন্যে এখন পিছিয়ে পরেছে তার অনেকটাই। লকডাউনের হঠাৎ করেই পাওয়া এই অবসর মানুষকে যেন প্রথমে সাময়িক একটা আনন্দ দিয়েছিলো। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ দীর্ঘদিনের ব্যস্ত জীবনের থেকে একটা বিরতি দিয়েছিলো এই লকডাউন। অনেকেই একটু স্বস্তি পেয়েছিলো এটা ভেবে যে এই অবিরাম ছুটে চলা, যান্ত্রিক, কর্মব্যস্ত ও ক্লান্ত জীবন থেকে অল্প কিছুদিনের একটা ছুটি মিলেছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ যেটা তারা আগে সারাদিনের শেষে বহুবার চেয়েছে! বিজ্ঞানের দুর্দান্ত সব আবিষ্কারের ফলে মানুষ গত কয়েকবছরে যন্ত্র-নির্ভর জীবনযাপন করছে। এখন সেই বিজ্ঞানের জন্যে গৃহবন্দী আতঙ্কের জীবন কাটাচ্ছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ এটা বোধহয় একটা ঐতিহাসিক সময়। যখন মানুষজন ঘরে থেকে লড়াই করেছে সুস্থভাবে বাঁচার জন্য। শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলো শুনশান, নেই কোনও হর্নের আওয়াজ। নিজের চেনা শহর, চেনা অঞ্চল যেন অন্যরকম। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ এখন গোটা দেশে থেকে প্রায় সবগুলো রাজ্যে আছড়ে পড়েছে লকডাউনের দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছর চারঘন্টার নোটিশে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে আটকে গিয়েছিল জীবন জীবিকা। তারপর থেকেই মানুষ যেন রোলার কোস্টার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ লকডাউনের জন্য ট্রেন বন্ধ, বাস বন্ধ এর সঙ্গে বন্ধ রোজগারও। হকার,ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী সকলেরই করুণ দশা। টানা লকডাউনে জমানো পুঁজিও শেষের পথে। মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী মানুষকে বলা হলো স্টে হোম, স্টে সেইফ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ কিন্তু খিদের কাছে সবগুলোই যেন তুচ্ছ। কিছুদিন পর অধিকাংশ মানুষ বলে উঠল ভাতের জন্য তারা মরতে প্রস্তুত, তবু এভাবে ঘরে অভুক্ত থাকতে চায় না। এ থেকে বোঝা যায়, মানুষের সঞ্চয় কত কম। করোনা প্রাদুর্ভাবের কালে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী, শ্রমিক, কুলি এমনকি শিশু, শিক্ষার্থী সবাই যেন বিপর্যস্ত, বিব্রত। হতাশা নিয়ে এর সমাধান খুঁজতেই বেড়িয়ে পরছেন সকলে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ