New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/MAMATA-LETTER-LEAD.jpg)
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে পতঙ্গ বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ২০১৫-১৬ সালে একদল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। গ্রামীণ সম্পদ কর্মী তথা ভিলেজ রিসোর্স পার্সন নামে এই কর্মীদের দৈনিক দেড়শো টাকা সাম্মানিকের ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। ছবি: শাহজাহান আলি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এরকম কর্মীর সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। রাজ্যে মোট ৩৩ হাজার ৭২৫ জন কর্মী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই সমস্ত কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমায়েত করেছিলেন। সেখান থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নিজেদের দাবিপত্র পৃথকভাবে রেজিস্ট্রি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। ছবি: শাহজাহান আলি। সংগঠনের কেশপুর ব্লক সভাপতি বসন্ত ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে জানিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পাইনি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বেতন বিন্যাস নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরের দেখা হলেও আমাদের পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালাম নবান্নতে। পদক্ষেপ না করলে এবার অন্যভাবে আন্দোলন করব’’। গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের কাজ প্রতিদিনই নিজ এলাকায় ঘুরে পতঙ্গ বাহিত রোগ জীবাণুর সন্ধান করা। পরিবেশে পতঙ্গ বসবাসের অবস্থান কেমন তা সুনিশ্চিত করা।সেই সঙ্গে এই ধরনের ক্ষতিকারক পতঙ্গদের বিনাশের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করা, ও পতঙ্গ নাশক উদ্যোগ নেওয়া। এই সমস্ত তথ্য প্রতিদিনই স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয় কর্মীদের।ছবি: শাহজাহান আলি। পঞ্চায়েত দফতরের মাধ্যমে এই নিয়োগ করা হলেও কাজ করতে হয় স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। প্রতিদিনই নিয়ম করে নিজেদের কাজ সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দিলেও তাঁদের বেতন ও অন্যান্য পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ তাঁদের। ছবি: শাহজাহান আলি।